Table of Contents
ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে না জড়াতে পশ্চিমাদের সতর্কবার্তা তেহরানের
গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিতে উত্তেজনা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে জোরালোভাবে সমর্থন করছে।
দেশটির রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাইদ ইরাভানি এমন আবহাওয়ায় ইরানে হামলায় পশ্চিমাদের সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তার মতে, কোনো দেশ যদি ইসরাইলকে ইরানে হামলা করতে সাহায্য করে; তখন তেহরান ওই দেশটিকে ইসরায়েলের মিত্র হিসেবে বিবেচনা করবে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহের নিউজ।
আমির সাইদ ইরাভানি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। যদি কোনো দেশ আগ্রাসী ইসরাইলকে সাহায্য করে, সেই দেশটিকে অপরাধের সাথে জড়িত এবং বৈধ লক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হবে।
আরো পড়ুন : বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬
ইরানি দূত আরো বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হল তারা যেন ইসরাইলি সরকার ও ইরানের মধ্যে সংঘর্ষে না জড়ায় এবং যুদ্ধ থেকে দূরে থাকে’।
ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) মঙ্গলবার রাতে সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে তেল আবিবে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার নাম দেওয়া হয় অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২।
আইআরজিসি বলেছে যে তারা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি জেনারেল আব্বাস নীলফরউশানের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে এই হামলা চালিয়েছে। আইআরজিসি আরও বলেছে যে এই অভিযানটি জাতিসংঘের সনদের অধীনে বৈধ আত্মরক্ষার দেশটির অধিকারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি লেবানন এবং গাজার জনগণের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান অপরাধের প্রতিক্রিয়া ।