Table of Contents
স্বামী স্ত্রী ভালোবাসা এবং রাসুল ﷺ এর সুন্নাত
বিবাহিত জীবনের শুরুতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। একটু হাসি, একটু মিষ্টি কথা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বিয়ের পর প্রথমবার একে অপরের কাছাকাছি এলে স্বামী-স্ত্রী যে মাধুর্য, প্রাচুর্য, ভালোবাসা অনুভব করেন তা বর্ণনাতীত।
আহা! জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যদি এমনই থাকতো। তাহলে পৃথিবীতে আর কী দরকার! বিয়ের প্রথম কয়েক মাস হানিমুন টাইপের। এই হানিমুন পিরিয়ড শেষ হলেই শুরু হয় আসল ঘটনা। স্বামী কাজ শেষে বাড়িতে এলে ঝগড়া শুরু হয় বা পারস্পরিক বোঝাপড়া ধীরে ধীরে কমে যায়, যা দাম্পত্য কলহের প্রধান কারণ।
এভাবে একের পর এক স্ত্রীকে আদেশ করতে থাকেন। অন্যদিকে, জামাই তার পুরোনো বন্ধু, বা সহকর্মীকে ডাকে ঠাট্টা , তামাশা করে বেড়ায় । তারপর ঘুমানোর পালা। জামাই ভালো মেজাজে থাকলে স্ত্রীর সঙ্গে মধুর সময় কাটান বা স্ত্রী যৌন মিলনে লিপ্ত হন। কিন্তু উদ্দেশ্য শুধুমাত্র নিজেদের ইচ্ছা পূরণ করা। বিবাহিত জীবনের শুরুটা আর বোঝা যায় না। এছাড়া স্ত্রী দরিদ্র পরিবারের হলে তো প্রশ্নই আসে না। সুতরাং, এটি প্রতিদিনের এজেন্ডা হয়ে ওঠে।
এখন স্ত্রীর দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি পরীক্ষা করা যাক। স্ত্রী প্রথমে জামাইকে খুশি করার চেষ্টা করে। কিন্তু ধীরে ধীরে সে উৎসাহ ও উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলে। কারণ সে তার স্বামীর মনোযোগ পায় না। তিনি তার স্বামীকে খুশি করার জন্য রান্না করেন। এমনকি খাবারের সাজসজ্জাও নিখুঁতভাবে করা হয়। কিন্তু জামাই তার খাবারের প্রশংসা না করে তার খাবারের দোষ বর্ণনা করতে থাকে। এভাবে যতক্ষণ স্বামী ঘরে না থাকে ততক্ষণ স্ত্রী ভালো থাকে। কারণ তার দাসত্বের জীবন আসলে শুরু হয় তার স্বামী বাড়িতে আসার পর। অর্থাৎ সে দাসীর মত হয়ে যায়।
আরো পড়ুন : স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়
Read more islamic post
আল্লাহ সর্বপ্রথম কী সৃষ্টি করেছিলেন ? | সৃষ্টির মূল কী ছিল?
ইসলামে চুরি ও চোরের শাস্তি কী ?
পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা মানে কি – আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া
শিক্ষামূলক ইসলামিক গল্প – কাবাশরীফ ধ্বংশের পরিকল্পনাকারী হস্তীবাহিনীর ঘটনা
মসজিদে দান করা জিনিস কি জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারবে?
সাহু সিজদা কখন দিতে হয় | সাহু সিজদা দেওয়ার নিয়ম
স্বামী স্ত্রী সহবাসের দোয়া ও নিয়ম
কবরে আযান দেয়া জায়েয কিনা? ইসলামী শরিয়তের ফয়সালা।
স্বামী স্ত্রী ভালোবাসা এবং রাসুল ﷺ এর সুন্নাত
আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল এক নয়; কিন্তু আলাদা নয়। এ কথাটা কতটুকু শরীয়তসম্মত?
প্রশ্ন: কুরবানির পশুর চামড়া বা বিক্রয়ের টাকা প্রদানের খাতগুলো কি কি? বিস্তারিত জানতে আগ্রহী।
এ ধরনের বিয়ে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। এই ধরনের জীবনে সুখ পাওয়া কঠিন। একজন স্বামীর উচিত তার বিবাহিত জীবনকে আল্লাহর রাসূলের মতো সাজানো। আমরা রোমিওকে বুঝি প্রেমের পুরুষ আইকন হিসেবে, যা আমাদের মোটেও কাম্য নয়। এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক. কিন্তু আমাদের যদি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ স্বামীর কথা বলতে হয়, তাহলে বলতে হবে মহানবী (ﷺ) এর কথা। আমরা তার জীবনী মনোযোগ সহকারে পড়লে এটি আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়।
আমাদের নবী একজন আদর্শ স্বামীর আদর্শ উদাহরণ। তিনি তার স্ত্রীদের কাছে সর্বোত্তম পুরুষ ছিলেন। সুখী সংসার করতে হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন দৃঢ় হতে হবে। নিচে নবীর সুন্নাহ থেকে কিছু টিপস দেওয়া হল, যেগুলো মেনে চললে অবশ্যই সুখী পরিবার হবে।
আমাদের রাসুল ﷺ আদর্শ স্বামীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি ছিলেন তাঁর স্ত্রীদের কাছে সবচাইতে শ্রেষ্ঠ মানুষ। একটি সুখী সংসার করতে হলে স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝে অবশ্যই মনস্তাত্তিক, শারিরীক এবং আধ্যাত্নিক বন্ধন সুদৃঢ় হতে হবে। নিচে রাসুলের সুন্নত থেকে কিছু টিপস দেয়া হল, যা পালন করলে অবশ্যই সুখী সংসার গড়া সম্ভব হবে ।
স্বামী স্ত্রী ভালোবাসা এবং রাসুল ﷺ এর সুন্নাতের প্রতি আমলের উপায়
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার সেরা উপায় জেনে নিন
১) সঙ্গী / সঙ্গিনীর অনুভুতি বােঝার চেষ্টা করুনঃ-
স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের অনুভূতির প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। স্ত্রীর মেজাজ ভালো না খারাপ তা স্বামীর বোঝা উচিত। একইভাবে স্বামীর মেজাজ স্বাভাবিক না থাকলে স্ত্রীরও বোঝা উচিত। উভয়ই একই সময়ে খারাপ মেজাজে থাকতে পারে না।
কথাবার্তা বা ঝগড়ার সময় দুজনের একজনকে চুপ থাকতে হবে। এ সময় একজনের পাশে বসে সান্ত্বনা দেওয়া, সমস্যা বোঝার চেষ্টা করা, ভালো সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। হাদিসে এসেছে , রাসুল ﷺ হযরত আয়েশা رضي الله عنها এর অনুভূতির ব্যাপারে এতটাই সচেতন ছিলেন যে , তিনি বুঝতেন কখন আয়েশা رضي الله عنها তাঁর উপর খুশী হতেন আর কখন অভিমান বা গােস্বা করতেন ।
২) তাঁকে আশ্বস্ত করুনঃ-
স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই শান্ত থাকা উচিত। মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ সময় থাকে। তাদের জীবনের ভাল এবং খারাপ উভয় সময়ের জন্য তাদের সেখানে থাকা উচিত। ভালো সময়ে কাছে থাকো, খারাপ সময়ে দূরে সরে যাও। একে অপরের ছায়া হয়ে থাকুক।
একবার সাফিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফরে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তিনি একটু দেরি করেছিলেন। যার কারণে তিনি কাঁদছিলেন। তাকে এ অবস্থায় দেখে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মুল মুমিনীনের চোখের অশ্রু মুছে দিলেন এবং তাকে সান্ত্বনা দিলেন।
স্বামী স্ত্রী নিয়ে স্ট্যাটাস – স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা
৩) স্ত্রীর কোলকে বালিশ বানিয়ে শুয়ে থাকুনঃ-
স্বামীর কাছে ব্যাপারটা অত্যন্ত তুচ্ছ মনে হতে পারে । কিন্তু স্ত্রীর জন্য এটা অনন্য । এই আচরণ দুই হৃদয়কে কাছে টেনে নিয়ে আসে । এই আচরণে স্ত্রী প্রচন্ডভাবে আস্বস্ত হয় । বাহির থেকে স্বামীরা যখন বাসায় আসবেন , কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনার স্ত্রীর কোলে মাথা রেখেন শুয়ে পড়ুন । এতে আপনার বিশ্রাম ও হবে , সেই সাথে স্ত্রী ও খুশী হবেন । হাদিসে এসেছে , রাসুল ﷺ হযরত আয়েশা رضي الله عنها এর কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতেন , এমনকি কুরআন তেলাওয়াত ও করতেন ।
স্বামী স্ত্রী মিলনের সময় কি দোয়া পড়তে হয়?
بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাজাক্বতানা।
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের নিকট থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখ।
৪) চুল আচড়ে দিনঃ-
কোন কোন কাজ অনেক সময় সামান্য বলে মনে হলেও দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব যাদুময়ী । চুল আঁচড়ে দেয়া হল তাঁর মধ্যে অন্যতম । স্বামী স্ত্রী একে অপরের চুল মাঝে মাঝে আঁচড়ে দিতে পারেন । আমাদের উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা رضي الله عنها মাঝে মাঝে নবীজির চুল আঁচড়ে দিতেন । তেমনিভাবে অন্যান্য ছােটখাট কাজ করেও ভালবাসা বৃদ্ধি করতে পারেন । যেমনঃ জামা পড়তে সাহায্য করা , গরমের দিনে ঠান্ডা শরবত করে দেওয়া ইত্যাদি ।
৫) গ্লাস বা পাত্রের একই জায়গা দিয়ে খানঃ-
হযরত আয়েশা رضي الله عنها যখন কোন পাত্র দিয়ে পানি পান করতেন , রাসুল ﷺ সেই একই পাত্রের সেই একই জায়গা দিয়ে পানি পান করতেন । তেমনি ভাবে গােশত খাওয়ার সময় আয়েশা رضي الله عنها যে স্থান হতে খেতেন রাসুল ﷺ ও ঐ একই স্থান হতে খেতেন । আপনি ও আপনার স্ত্রী বা স্বামীর সাথে এভাবে ব্যবহার করুন । আপনাদের মাঝে ভালবাসা হবে প্রকট এবং বন্ধন হবে অটুট ।
৬) চুম্বন করুনঃ-
রাসুল ﷺ প্রায়শই তাঁর স্ত্রীকে চুম্বন করতেন । এমনকি রােযা রাখা অবস্থায়ও । তেমনি আপনি আপনার স্ত্রীকে ও চুমু দিন । যেকোণ উসিলায় চুমু দিন । ঘর থেকে বের হবার সময় , ঘরে ঢােকার সময় চুমু দিন । এটা আপনার স্ত্রীর প্রতি আপনার ভালবাসা প্রকাশ করে । আপনার স্ত্রী যখন ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকেন , তখন আচমকা চুমু দিয়ে surprise দিন । আপনার বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে হলে আপনাকে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে।
বিবাহিত জীবনে স্বামী স্ত্রীর মাঝে শারীরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকটায় দুজনকেই সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে। শরীয়ত ও স্বামী স্ত্রীর মাঝের এই সম্পর্ককে উৎসাহিত করেছে । স্বামী স্ত্রীর মাঝে যে শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকে তা সদকা স্বরুপ ।
৬) খাবারের লােকমা মুখে তুলে খাইয়ে দিনঃ-
স্ত্রীর মুখে খাবার দিলে সওয়াব রয়েছে বলে হাদীসে উল্লেখ আছে। তাই স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একে অপরকে খাইয়ে দিন, এতে ভালোবাসা বাড়ে। সুযোগ পেলেই এই কাজটি করুন।
৭) ঘরের কাজে সাহায্য করুনঃ-
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যতদিন ঘরে থাকতেন ততদিন তিনি স্ত্রীদের ঘরের কাজে সাহায্য করতেন। নিজের কাজ নিজেই করতেন। নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। একজন স্বামীর যেমন স্ত্রীকে সাহায্য করা উচিত, তেমনি আমাদের স্ত্রীদেরও উচিত আমাদের স্বামীকে কিছু কাজে সাহায্য করা। একইভাবে, স্বামী-স্ত্রী যদি বিনা দ্বিধায় এবং জিজ্ঞাসা না করে একে অপরকে তাদের কাজে সাহায্য করে তবে তারা একে অপরের প্রতি সহানুভূতি বোধ করবে যা বিবাহিত জীবনের অন্যতম চালিকা শক্তি।
৮) গল্প করুনঃ-
স্ত্রীর সাথে আপনার জীবনের ঘটে যাওয়া কোন মজার ঘটনা , অথবা গল্প শেয়ার করুন । স্বামী স্ত্রীর মাঝে দেখা যায় এক পর্যায়ে গিয়ে কাজের আর সংসারের কথা ছাড়া অন্য কোন কথাবার্তা হয়না । এটা ঠিকনা । তাদের উচিৎ নিজেদের মাঝে হাল্কা খােশগল্পে মেতে ওঠা । অথচ আমরা যা করি তা হল , কোন ঘটনা বন্ধুদের কে ফোন করে বলে থাকি আর হাহাহুহু করে হাসি । কিন্তু স্ত্রীকে বলিনা । অথচ উচিৎ ছিল স্ত্রীকে নিয়েই সবার আগে হাহা হুহু হিহি করা । কাজেই আর দেরী না করে একটা রুটিন করুন , যে সময় আপনি ও আপনার স্ত্রী বসে হাল্কা খােশ মেজাজে কথাবার্তা বলবেন ।
৯) সুখের কোন সংবাদ বা সময়টুকু তাঁর সাথে শেয়ার করুনঃ-
জীবনের ভাল সময় গুলাে অথবা কোন ভাল ঘটনায় যখন আপনি খুশী হন , সে সময় টুকু স্ত্রীর সাথে শেয়ার করুন । স্বামী স্ত্রী পরস্পর সুখ ও দুঃখ উভয় ক্ষেত্রেই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে কাজ করে থাকে ।
১০) বাচ্চাদের মতাে খেলুন এবং প্রতিযােগিতা করুনঃ-
রাসুল ﷺ তাঁর স্ত্রীদের সাথে হাসিতামাশা এবং ক্রীড়া কৌতুকে অংশগ্রহণ করতেন । হযরত আয়েশা رضي الله عنها এবং রাসুল ﷺ এর দৌড় প্রতিযােগিতার ঘটনাটি এর প্রকই উদাহরণ ।
১১) সুন্দর নাম দিন এবং সেই নামে ডাকুনঃ-
রাসুল ﷺ তাঁর স্ত্রীদের সুন্দর নামে ডাকতেন । অনেকসময় তিনি আয়েশা رضي الله عنها কে আহ্লাদ করে “ আয়েশ ” বলে ডাকতেন । তিনি কোন কোন সময় “ হুমায়রা ” বলেও ডাকতেন । হুমায়রা অর্থ হল হাল্কা লালাভ । আলেমগণ বলেছেন , কেউ যদি এত ফর্সা হয় যে রােদের আলােয় তাঁর চেহারা লাল বর্ণ হয়ে যায় , তখন এ অবস্থাকে হুমায়রা বলা হয় । দাম্পত্য জীবনে এটাই দরকার । স্বামী স্ত্রী একজন আরেকজনকে প্রশংসা করবে , ভালবাসবে । ফলে জীবন হবে সুখময় ।
- জানাজা নামাজের নিয়মাবলী | জানাযার নামাযের পদ্ধতি (হানাফী)
- ইসলামে চুপ থাকার উপকারিতা | চুপ থাকা নিয়ে ইসলামিক উক্তি | চুপ থাকার উপায়
- ইসলামে চুপ থাকার উপকারিতা | চুপ থাকা নিয়ে ইসলামিক উক্তি | চুপ থাকার উপায়
১২) সুন্দর জামাকাপড় পরুন এবং সাজুনঃ-
স্বামী স্ত্রী একজন আরেকজনের জন্য পরিপাটি করে থাকা জরুরী । স্ত্রীরা যেমন স্বামীর জন্য ভাল ভাল জামা কিনে পড়ে , সাজগােজ করে । স্বামীর ও উচিৎ ভাল ভাল জামা পড়া , নিজেকে পরিপাটি করে রাখা , পরিচ্ছন্ন রাখা । অথচ আমাদের পুরুষদের মাঝে এটা দেখা যায়না । আর পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেতাে একেবারেই উদাসীন । রাসুল ﷺ যখন বাহির থেকে বাসায় ফিরতেন , সঙ্গে সঙ্গে মেছয়াক করে নিতেন ।
১৩) সুগন্ধি ব্যবহার করুনঃ-
রাসুল ﷺ সুগন্ধী অনেক পছন্দ করতেন এবং দুর্গন্ধ ঘৃণা করতেন । তাঁর এক সুগন্ধীদানী ছিল এবং সেখানে থেকে তিনি নিয়মিত সুগন্ধী লাগাতেন । স্বামী স্ত্রীর উচিৎ সুগঙ্ঘী ব্যবহার করা । নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে মনােরম থাকা । কারণ দুর্গন্ধ স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভালবাসার অন্তরায় ।
১৪) একান্তে ঘটে যাওয়া বিষয় গােপন রাখুনঃ-
স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঘটে যাওয়া একান্ত মুহুর্তের ব্যাপারগুলাে কখনই বন্ধু মহলে আলােচনা করবেন । এটা সম্পর্কের মাঝে খারাপ প্রভাব বিস্তার করে । আপনার স্ত্রী শুধু আপনার জন্যই , আপনার স্বামী শুধু আপনার জন্যই । কখনই গােপন বিষয়গুলাে বাহিরে সুগন্ধীদানী ছিল এবং সেখানে থেকে তিনি নিয়মিত সুগন্ধী লাগাতেন । স্বামী স্ত্রীর উচিৎ সুগঘী ব্যবহার করা । নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে মনােরম থাকা । কারণ দুর্গন্ধ স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভালবাসার অন্তরায় ।
১৫) সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের ভালবাসুন এবং সম্মান করুনঃ-
স্বামী এবং স্ত্রী শুধু তাদের নিজেরকে না , তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেও সম্মান দেখাতে হবে , স্নেহ করতে হবে । অপরজনের সামনে অপ্রজনের নিকট আত্নীয়ের প্রশংসা করতে হবে । এতে উভয়ের মনে ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে ।
রুমে কেবল স্বামী স্ত্রী থাকলে শরীরে কোন কাপড় না রেখে কি ঘুমানো যায়?
লজ্জাস্থান অপ্রয়োজনে খুলে রাখা বৈধ নয়। পর্দার ভেতরে প্রয়োজনে তা খুলে রাখায় দোষ নেই। যেমন মিলনের সময়, গোসলের সময় বা প্রস্রাব পায়খানার করার সময়। অপ্রয়োজনের সময় লজ্জাস্থান আবৃত রাখা ওয়াজেব। নাবি (সঃ) বলেছেন, “তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকট লজ্জাস্থানের হেফাজত কর।” সাহাবী বললেন, ‘হে আল্লাহ্র রাসুল! লোকেরা আপসে এক জায়গায় থাকলে?’ তিনি বললেন, “যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পায়।” সাহাবী বললেন, ‘ হে আল্লহর রাসুল! কেউ যদি নির্জনে থাকে?’ তিনি বললেন, “মানুষ অপেক্ষা আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তাকে লজ্জা করা হবে।” ৬১৪ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ৩১১৭ নং)
এখানে “তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকট লজ্জাস্থানের হেফাজত কর”—এর মানে এই নয় যে, স্ত্রী ও ক্রীতদাসীর কাছে সর্বদা নগ্ন থাকা যাবে। উদ্দেশ্য হল, তাদের মিলনের সময় অথবা অন্য প্রয়োজনে লজ্জাস্থান খোলা যাবে, অপ্রয়োজনে নয় (অর্থাৎ পরিপূর্ণ উলঙ্গ নয়, যতটুকু সতর ঢাকা যায়)।
তাছাড়া উলঙ্গ অবস্থায় ঘুমালে আকস্মিক বিপদের সময় বড় সমস্যায় পড়তে হবে। সুতরাং সতর্কতাই বাঞ্ছনীয়।
Reference:
- https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_686.html
- http://www.hadithbd.com/books/link/?id=1401