রাসূল করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার শয়তান ও তার বংশধরের দৌরাত্ম বোঝাতে গিয়ে বলেন, শয়তান শাহি সিংহাসনে বসে তার সৈন্যবাহিনীকে পাঠায় মানুষের মাঝে ফেতনা ফাসাদ ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য।
শয়তানের বাহিনী নিজ নিজ কর্তব্য পালনে ছুটে যায়।
তাদের মাঝে যে সবচেয়ে বেশি দুষ্কর্ম করতে পারে শয়তান তাকে বিশেষ স্নেহ ও শুভাশীষ জানায়।
শয়তানের বাহিনী যখন ফিরে আসে প্রত্যেকে সরদারের কাছে নিজ নিজ রির্পোট পেশ করে। ...........
আমি এই করেছি, সেই করেছি, এমন মহৎ কর্ম আঞ্জাম দিয়েছি। এরই মাঝে এক সৈন্য সরদারের সামনে গিয়ে তার রির্পোট পেশ করে এভাবে—আমি সুকৌশলে সূক্ষ্মভাবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হইনি ।...
রাসূল করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি বলেন, শয়তান এ রির্পোট শুনে খুশিতে লাফিয়ে উঠল। তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে উদ্বেলিত কণ্ঠে বলল, তুমি করেছো আসল কাজ! (মুসলিম, হাদিস, ৬৯৯৯)
মোল্লা আলী ক্বারী রহ. বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করাতে শয়তান এতো খুশি হওয়ার কারণ হলো—এতে জিনা ব্যভিচারের পথ খুলে যায়। জারজ সন্তান উৎপাদন বেশি হয়। ফেতনা ফাসাদের বাজার গরম হয়। শয়তানের নিকট যা পরম কাম্য। (মিরকাত)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা দাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আহমাদ, হাকিম, আবু দাউদ, হাদিস, ২১৭৫)