ফরজ গোসল নিয়ম | গোসল ফরজ কয়টি | গোসল ফরজ হওয়ার কারণ | গোসল ফরজ সমূহ কি কি?

1
133
পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত |ফজরের নামাজের ফজিলত
পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত |ফজরের নামাজের ফজিলত
Advertisements
Rate this post
ফরজ গোসল নিয়ম | গোসল ফরজ কয়টি | কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় | গোসল ফরজ হওয়ার কারণ | গোসল ফরজ সমূহ কি কি?
ফরজ গোসল নিয়ম | গোসল ফরজ কয়টি | কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় | গোসল ফরজ হওয়ার কারণ | গোসল ফরজ সমূহ কি কি?

ফরজ গোসল নিয়ম | গোসল ফরজ কয়টি | কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় | গোসল ফরজ হওয়ার কারণ | গোসল ফরজ সমূহ কি কি?

গোসল কি?

ইসলামের পরিভাষায় গোসল হলো পুরো শরীর ধৌত করে পরিপূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের একটি পদ্ধতি। কিছু ধর্মীয় আচার পালনের জন্য গোসল একটি পূর্বশর্ত। যৌন মিলনের পর, যৌনাঙ্গ থেকে স্রাব (যেমন বীর্যপাত), ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর, স্বাভাবিক কারণে সন্তান প্রসব এবং স্বাভাবিক মৃত্যুর পর গোসল করা ওয়াজিব । অধিকন্তু, জুমার নামাজের আগে, ঈদের নামাজের আগে, ইহরামের আগে, হজের প্রস্তুতির সময়, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে বা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহণের আগে অজু করা মুস্তাহাব (উৎসাহিত)। আমাদের অবশ্যই এই বিষয়ে জানতে হবে , কারণ আমলের পূর্বে পবিত্রতা পূর্বশর্ত । তো আজকের পোস্টে আমরা গোসলের সকল নিয়ম, গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি এবং কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় ।

গোসল চার-প্রকার

গোসল চার-প্রকার যেমনঃ
১.ফরজ গোসল।
২.ওয়াজিব গোসল।
৩.সুন্নাত গোসল।
৪.মুস্তাহাব গোসল।

আরো পড়ুন :

Advertisements

ইসলামের বাস্তব কাহিনী | ইসলামিক বাস্তব গল্প

১৫০ টি সেরা ইসলামিক উক্তি বা ইসলামী বানী [Top 150 Islamic Quotes in Bangla]

পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত | ফজরের নামাজের ফজিলত

১.ফরজ গোসল

যে সব কারনে ফরজ গোসল হয় এর কারণসমূহঃ
১.জাগ্রত বা নিদ্রা অবস্থায় উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হওয়া।
২.স্বপ্ন দোষ হয়ে যদি বীর্য পাত হয়।
৩.স্ত্রী সহবাস করার দ্বারা গোসল ফরজ হয়।
৪.নারীদের ঋতু (হায়েজ-মিনস) বা নেফাস (সন্তান প্রসোবত্তোর স্রাব) হওয়া।

২.ওয়াজিব গোসল

যে সব কারনে ওয়াজিব গোসল হয় এর কারণসমূহঃ
১.মৃত ব্যক্তির গোসল জীবিতদের জন্য ওয়াজিব হয়।
২.কাফের নাপাক শরীর মুসলমান হতে চাইলে এর আগে গোসল করা ওয়াজিব।

৩.ছেলেদের স্বপ্নদোষ মেয়েদের ঋতুস্রাব দ্বারা বালেগ হলে গোসল করা ওয়াজিব।
৪.বিধর্মী স্ত্রীলোক ঋতু বা নেফাছ বন্ধ হওয়ার পর মুসলমান হতে চাইলে গোসল করা ওয়াজিব।

৩.সুন্নাত গোসল

যে সব কারনে সুন্নাত গোসল হয় এর কারণসমূহঃ
১.জুমার নামাজের জন্য গোসল করা।
২.দুই ঈদের নামাজের জন্য গোসল করা।
৩. ইহরামের পূর্বে গোসল করা।
৪.আরাফার ময়দানে অবস্থানের আগে গোসল করা।

৪.মুস্তাহাব গোসল

যে সব কারনে মুস্তাহাব গোসল হয় এর কারণসমূহঃ
১.শাবানের পনের তারিখ রাতে।

২.কদরের রাতে।
৩.গোনাহ থেকে তওবা করার পূর্বে।
৪.সফর থেকে ফিরে আসলে।
৫.মদিনা মুনাওয়ারায় প্রবেশের পূর্বে।
৬.মক্কা মুকাররমায় প্রবেশের পুর্বে।
৭.মুজদালিফায় যাওয়ার পূর্বে।
৮.তওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে।
৯.মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পরে।
১০. নতুন কাপড় পরিধানের পূর্বে।
১১.অতিরিক্ত গরম পরলে।
১২.চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের নামাজের জন্য।
১৩.এস্তেসকা (বৃষ্টির) নামাজের জন্য।
১৪.ভয় পেলে।
১৫.পাগলামী থেকে সুস্থ্য হলে।
১৬.বেহুঁশ কিংবা মাতাল ব্যক্তি হুঁশ হওয়ার পর।

১৭.পবিত্র অবস্থায় ইসলাম গ্রহণ করার পর গোসল করা মুস্তাহাব। তবে নাপাক অবস্থায় ইসলাম গ্রহণ করলে গোসল করা ওয়াজিব।
১৮.প্রবল বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সময়।

১৯ অধিক অন্ধকারের সময়। (জামেউস সুনান, ফিকহুল মুয়াস্সার)

গোসলের নিয়ত

আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ الْغُسْلَ لِرَفْعِ الْجَنَابَةِ

বাংলা-উচ্চারন

নাওয়াইতুল গুসলা লিরাফয়ি’ল্ জানাবাতি।
বাংলা অর্থ
আমি নাপাকি দূর করিবার জন্য গোসলের নিয়ত করিতেছি।

গোসলের ফরজ কয়টি ? গোসলের ফরজ সমূহ কি কি?

গোসলের মধ্যে তিনটি ফরজ -যথাঃ

১.গড়গড়ার সহিত কুলি করা কিন্তু রোজা রাখাবস্থায় গড়গড়া করা নিষেধ।
২.নাকের ভিতরের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছাইয়া উত্তমরূপে নাক পরিষ্কার করা।
৩.মাথা হইতে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছাইয়া ধৌত করা।

***বিঃদ্রঃ উপরোক্ত তিনটি ফরজ কাজের মধ্যে একটিও ছুটিয়া গেলে কিংবা শরীরের একটি পশমের গোসালী শুকনা থাকিলে গোসল শুদ্ধ হইবে না।

Advertisements

1 COMMENT

Leave a Reply