Table of Contents
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল” বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর নিচে প্রথম সড়ক টানেল। পার্বত্য চট্টগ্রামের লুসাই পাহাড় হতে উৎপন্ন হয়ে কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। মূল শহর এবং চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশে এবং অন্য দিকে ভারী শিল্প এলাকা পূর্বপাশে অবস্থিত।
নদীর মরফলজিক্যাল বৈশিষ্টের দ্বারা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলি জমার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। তাছাড়া বর্তমানে সচল দুটি ব্রিজ (কর্ণফুলী ব্রিজ প্রায় ৯.৫ কি.মি. উজানে এবং কালুরঘাট রেলওয়ে ব্রীজ প্রায় ২১ কি.মি. উজানে) দ্বারা ক্রমবর্ধমান যান চলাচল সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম অক্ষুন্ন রাখার নিমিত্ত পলি জমার সমস্যা সমাধান করতঃ চট্টগ্রাম শহরের জানজট নিরসন করে চট্টগ্রাম শহরকে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীরে সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে অন্য কোন ব্রীজ নির্মাণের পরিবর্তে নদীর নিচ দিয়ে টানেল নির্মাণের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
২০১১ সালে সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্পের কারিগরী ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা শুরু করা হয় এবং ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা সমাপ্ত করা হয়। তারই ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালের জুন মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকালে টানেলটি নির্মাণের লক্ষ্যে চীন সরকারের সাথে জি টু জি ভিত্তিতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে ৩০ জুন, ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও China Communications Construction Company Ltd. -এর মধ্যে টানেল নির্মাণের লক্ষ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ECNEC – কর্তৃক “কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ”- শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুমোদিত হয়। অতঃপর ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর China Exim Bank-এর সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এর ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মহামান্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেল নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিগত ৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে China Exim Bank-এর সাথে প্রকল্পের ঋণচুক্তি কার্যকর হয় এবং ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে Mobilization Money-প্রদানের মাধ্যমে প্রকল্পের ভৌত কার্যক্রম শুরু করা হয়।
প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ০৫ বছর, তদানুযায়ী প্রকল্পটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্তির কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে মালামাল আমদানিতে ব্যাহত হওয়ায়, অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তা/শ্রমিক স্বল্পতা ও করোনাকালীন সরকার ঘোষিত স্বাস্থবিধি মেনে কাজ করতে কাজের গতি সীমিত হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ০১ বছর বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর করা হয়। ২য় সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মোট ব্যয় ১০৬৮৯.৭১ কোটি টাকা, যার মধ্যে চায়না এক্সিম ব্যাংক হতে প্রকল্প ঋণ ৬০৭০.০০ কোটি টাকা এবং জিওবি বরাদ্দ ৪৬১৯.৭১ কোটি টাকা।
বাংলা রচনা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
প্রকল্পের ঋণ চুক্তির বর্ণনা :
মোট চুক্তি মূল্য ৭০৫.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ( ৬০৭০.০০ কোটি টাকা)।
(১) মূল টানেল : ৬৪৬.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
(২) প্রবিশনাল সাম মূল্যঃ : ৫৯.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
(২.১) সার্ভিস এরিয়াঃ : ৪৭.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
(২.২) টাগ বোটঃ : ৯.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
(৩.৩) ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারঃ :৩.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল
বঙ্গবন্ধু টানেল
বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ
বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা
বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায়
বঙ্গবন্ধু টানেল কোন নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে
বঙ্গবন্ধু টানেল বিস্তারিত
কর্ণফুলী টানেল
কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন
কর্ণফুলী টানেল নিয়ে প্রশ্ন
কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন কবে
কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ
কর্ণফুলী টানেল রচনা
কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
কর্ণফুলী টানেল এর দৈর্ঘ্য
কর্ণফুলী টানেল কত কিলোমিটার