Advertisements

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া

Author:

Published:

Updated:

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া
Advertisements

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া

Rate this post

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া

মহান আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। তিনি মানুষের প্রতি সদয় হন এবং কিছু আমলের বিনিময়ে জীবিকা বৃদ্ধি করেন। সমাজে অবহেলার কারণে সাধারণত অনেকেই এসব কাজ থেকে বিরত থাকেন। কোরান ও সুন্নাহ অনুযায়ী রিযিক বৃদ্ধির জন্য ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। আপনি কি জানেন সেগুলো কী…?

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া
যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া

আল্লাহর দয়া মানুষের জন্য অপরিহার্য। এমন অনেক লোক আছে যারা দীর্ঘ জীবন যাপন করেছে এবং ধন-সম্পদ, সন্তান বা কর্মফল লাভ করেনি। অনেকে পরিশ্রম করে কিন্তু ফল সেভাবে আসে না। কাজে বরকত নেই।

অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা স্বল্প জীবন যাপন করেও ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি, সুখ-দুঃখ, কাজ-কর্মে ধন্য হয়েছেন। অনেক অল্প পুজির ব্যবসা ও স্বল্প বেতনের চাকরি করেও তার ভরণপোষণের অভাব নেই। পরিবারের জন্য অফুরন্ত দয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে পাচ্ছে।

সুতরাং সব কাজে বরকত অনেক জরুরি বিষয়। আর বান্দার রিজিক বৃদ্ধির কার্যকরী উপায়গুলো হলো-

১. নিয়মিত তাওবাহ-ইসতেগফার:

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যারা বেশি তওবা করে; তারা যে সমস্যায় পড়ুক না কেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা সমাধান করেন।’ (মুস্তাদরেক হাকিম)

সুতরাং বেশি বেশি তাওবাহ-ইসেতগফার করা-

أَستَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’

অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘

অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।

رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণ : ‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।’

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।’

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ : ‘আস্‌তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’

অর্থ : ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’

২. আল্লাহর রাস্তায় দান বা ব্যয় করা

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন যে, যারা আল্লাহর রাস্তায় দান করে, আল্লাহ তাদের প্রচুর রিযিক দান করেন:

قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ وَ یَقۡدِرُ لَهٗ ؕ وَ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَهُوَ یُخۡلِفُهٗ ۚ وَ هُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ

‘(হে রাসুল! আপনি)বলুন, নিশ্চয়ই আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকতা।’ (সুরা সাবা : আয়াত ৩৯)

৩. তাকওয়ার ওপর অটল থাকা

তিনি সেই বান্দাকে বরকত বা কল্যাণ দান করেন যার তাঁর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভয় রয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ

وَ مَنۡ یَّتَّقِ اللّٰهَ یَجۡعَلۡ لَّهٗ مَخۡرَجًا – وَّ یَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَحۡتَسِبُ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ فَهُوَ حَسۡبُهٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بَالِغُ اَمۡرِهٖ ؕ قَدۡ جَعَلَ اللّٰهُ لِکُلِّ شَیۡءٍ قَدۡرًا

‘আর যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে রুযী দান করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করবে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই। আল্লাহ সবকিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা।’ (সুরা তালাক : আয়াত ২-৩)

وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُواْ وَاتَّقَواْ لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاء وَالأَرْضِ وَلَـكِن كَذَّبُواْ فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ

‘আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন (তাকে ভয়) করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানি ও দুনিয়ার নেয়ামতসমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের বদলাতে।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৯৬)

তাই আমাদের ঈমানকে শিরক, কুফর ও মুনাফেকী থেকে রক্ষা করতে হবে। সকল হারাম পরিহার করতে হবে। সব কিছুতেই আল্লাহকে বেশি বেশি ভয় করতে হবে। তবেই আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দার জন্য আসমান ও জমিনের যাবতীয় রিজিকের বরকতের দরজা খুলে দেবেন।

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া

৪. আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা

আত্মীয়-স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে বরকত ও কল্যাণ পাওয়া যায়। এটি একটি পরীক্ষিত অনুশীলন। আত্মীয়-স্বজন ও পিতা-মাতা, ভাই-বোন এবং রক্তের আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা। হাদিসে উল্লেখ আছে-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কামনা করে যে, তার রিজিক বাড়াতে চায় বা প্রশস্ত করতে চায়; তার হায়াত বা আয়ুকে দীর্ঘ করতে সে যেন আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

৫. বার বার ওমরাহ করা

যারা দারিদ্র্য ও গুনাহ কমাতে চায় তাদের জন্য বারবার ওমরা করা অপরিহার্য। হাদিসে উল্লেখ আছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ওমরাহ করে; ওমরাহ তার গোনাহ, তার অভাব অনেক দূরে পাঠিয়ে দেয়।’ (তিরমিজি)

৬. বিয়ে করা

রিজিক বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল বিয়ে। যারা অবিবাহিত, তারা যদি ভালো নিয়তে বিয়ে করে তাহলে মহান আল্লাহ তাদের দারিদ্র্যতা দূর করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

وَأَنكِحُوا الْأَيَامَى مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاء يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ

‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩২)

৭. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করা

দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে, রিযিকে ধন্য হতে হলে আল্লাহর কাছে দু’আ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। সর্বশক্তিমান আল্লাহ নিজেই যে কোনো বিষয়ে (হালাল পন্থা) মহান আল্লাহর কাছে দুআ করার বিষয়ে বলেন-

وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادۡعُوۡنِیۡۤ اَسۡتَجِبۡ لَکُمۡ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِیۡ سَیَدۡخُلُوۡنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیۡنَ

‘তোমাদের প্রতিপালক বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারে আমার উপাসনায় বিমুখ, ওরা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা গাফির/মুমিনুন : আয়াত ৬০)

৮. অসহায়দের প্রতি সদয় আচরণ ও দান করা

দান ও নেক আমলের দ্বারা রিযিক বৃদ্ধি পায়। রিযিক বাড়াতে চাইলে অসহায়দের প্রতি সদয় হওয়া উচিত। অভাবীদের প্রতি দয়া করলে আল্লাহ রিযিক বাড়িয়ে দেন। হাদিসে উল্লেখ আছে-

অসাহয়ের প্রতি দান ও সদাচরণে এ তাগিদ দিয়েছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ‘দান করার কিছু যদি না থাকে তবে একটি খেজুরের অংশ দিয়ে হলেও দান করার মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা কর।’

আরো পড়ুন :

ইসলামের বাস্তব কাহিনী | ইসলামিক বাস্তব গল্প পর্ব – ০১

হযরত হামযা এবং হযরত ওমর (রা) এর ইসলাম গ্রহন

৯. ইবাদতের জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখা

ইবাদত তথা নামাজে খুব বেশি মনোযোগী হওয়া। নিজে যেমন প্র্যত্যেক ওয়াক্তর নামাজ পড়তে হবে তেমনি পরিবারের লোকদের নামাজ পড়ানো ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। আর তাতে আল্লাহ রিজিক বাড়িয়ে দেবেন বলে এভাবে ঘোষণা করেছেন-

وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى

‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমি আপনাকে রিজিক দেই এবং আল্লাহকে ভয় করার পরিণাম শুভ তথা কল্যাণকার।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ১৩২)

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া

১০. যে কোনো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন খাবার খায় আর যদি বিসমিল্লাহ বলে; তবে শয়তান ওই খাবারে অংশ নিতে পারে না। যেটুতু খাবার আছে তা (পরিমাণে কম হলেও) তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।

অনুরূপভাবে কেউ যদি ঘরে প্রবেশ করার সময় বিসমিল্লাহ বলে তখনও শয়তান তার সঙ্গে বাসায় ঢুকতে পারে না। এভাবে বান্দা যখন সব কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে, তখন শয়তান সব কাজ থেকে মাহরুম হয়। আর আল্লাহ তাআলা সব কাজেই বরকত দান করেন।

১১. কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো

কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো খুবই জরুরি। কুরআন তেলাওয়াত, অধ্যয়ন এবং কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। যে যতবেশি কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াবে তার জন্য ততবেশি বরকত নেমে আসবে।

যে ঘরে কুরআন তেলাওয়াত হবে, কুরআনের চর্চা হবে, কুরআনের ওপর আমল করা হবে, সে ঘরেই নেমে আসবে আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকত ও কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা একাধিক আয়াতে বলেন-

وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ فَاتَّبِعُوهُ وَاتَّقُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

‘এটি এমন একটি কিতাব, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর; যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৫৫)

وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَهُمْ عَلَى صَلاَتِهِمْ يُحَافِظُونَ

‘এ কুরআন এমন কিতাব, যা আমি নাজিল করেছি; বরকতময়, আগের গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামাজ সংরক্ষণ করে।’ (সুরা আনআম: আয়াত ৯২)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা এ কিতাব (কুরআন) দিয়ে বহু মানুষকে (বরকতের মাধ্যমে) ওপরে ওঠাবেন। আবার বহু মানুষকে নিচে নামাবেন।’(মুসলিম)

অর্থাৎ যা কুরআনুল কারিমে অনুসরণ করবেন, তাদের জন্য এ কিতাব হবে বরকতের কারণ। আর যারা এ থেকে দূরে সরে যাবে তা হবে তাদের জন্য অমঙ্গলজনক হওয়ার কারণ।

১২. সকালবেলা কাজ শুরু করা

দিনের শুরুতে কাজ শুরু করা। যদি কারো অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য একটু বেলা করে হয় তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং নিজ ঘরের কাজ দিয়ে হলেও সকাল সকাল কাজ শুরু করা। কেননা সকালবেলার কাজে আল্লাহ তাআলা বরকত দান করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করেছেন-

اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا

হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে সকালবেলা বরকত দান করবেন।

অন্য বর্ণনায় এসেছে- তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য সকালবেলার সময়টাতে বরকত দেয়া হয়েছে।

সুতরাং কেউ যদি সকালের সময়টিতে ঘুমিয়ে থাকে তবে কিভাবে বরকত আসবে। এ কারণেই দিনের শুরুতে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে কাজ শুরু করার মাধ্যমে বরকত ও কল্যাণ করা জরুরি।

১৩. আল্লাহর ওপর ভরসা করা

বরকত লাভের অন্যতম চাবি বা আমল হলো আল্লাহর ওপর ভরসা করা। মুমিন যত বেশি আল্লাহর ওপর ভরসা করবে ততবেশি তাকে সাহায্য করবেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর প্রতি আস্থা, নির্ভরতা বা ভরসা যতি বেশি কমবে, সে ততবেশি অপমাণিত ও লাঞ্ছিত হবে। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘আল্লাহর প্রতি যেরকম ভরসা বা আস্থা রাখা দরকার, তোমরা যদি সেই মাপের আস্থা রাখতে পার, তাহলে আল্লাহ তাআলা পাখিকে যেভাবে রিজিক দেন তোমাদেরও সেভাবে রিজিক দেবেন।’

যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া

১৪. সালামের ব্যাপক প্রচলন করা

পরিপূর্ণ, সুস্পষ্ট বিশুদ্ধ সালামের ব্যাপক প্রচলন করা বরকত লাভের অন্যতম মাধ্যম। পরিপূণ সালাম হলো-

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْمَةُ اللهِ وَ بَرَكَاتُهُ

উচ্চারণ : ‘আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।’

অর্থ : ‘আপনার উপর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।’

এ সালের পুরোটাই শান্তি, রহমত ও বরকতের দোয়া। যারা নিয়মিত বেশি বেশি সালামের ব্যাপক প্রচালন করার চেষ্টা করেন। ঠিক সালামের উত্তরদানকারী ব্যক্তিও ঠিক একই দোয়া করেন-

‘আপনার ওপরও শান্তি, রহমত ও বরকত নাজিল হোক।’

সুতরাং জীবনে বরকত লাভে সহজ ও প্রচলিত এ আমলগুলোর প্রতি একটু খেয়াল রাখলেই বা যত্নবান হলেই জীবনে নেমে আসবে অবিরত রহমত, বরকত।

১৫. আল্লাহর জন্য হিজরত করা

পৃথিবীর সমগ্র অঞ্চলে আল্লাহ তায়ালার অনেক নেয়ামত বা কল্যাণ রয়েছে, তা অনুসরণের জন্য হিজরত হোক বা বিদেশ ভ্রমণ হোক। আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক সৃষ্ট এই দুনিয়া ভ্রমনের মাধ্যমে রিজিকের তালাশ করাতে কল্যাণ রয়েছে।

উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করতে পারলে মহান আল্লাহ বান্দার সব অভাব দূর করে দেবেন। রিজিকে বরকত দেবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহজ এ আমলগুলোর মাধ্যমে রিজিকে বেশি বেশি বরকত লাভের তাওফিক দান করুন। উল্লেখিত আমলগুলো নিয়মিত পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক
শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে পারেন। “যখন কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করে, তখন যারা তাকে অনুসরণ করে তাদের জন্য সমান পুরষ্কার থাকবে, তবে যারা অনুসরণ করবে তাদের জন্য সওয়াবের কোন হ্রাস হবে না।” তিরমিযীঃ ২৬৭৪

get study online telegram channel
Advertisements


Related Posts

About the author

Advertisements

3 responses to “যে ১৫ আমলে অবিরত রিজিক বাড়ে | সম্পদ লাভের দোয়া”

Advertisements

Leave a Reply

Advertisements
Back to top arrow
Top 25+ ULTIMATE INTERNATIONAL TRAVEL CHECKLIST এমন কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা রোজ করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা? Give up these 5 habits today, to live longer 22 things to know before going to India Adventure Awaits: Top 10 Things to Do in Wari Chora, South Meghalaya
Top 25+ ULTIMATE INTERNATIONAL TRAVEL CHECKLIST এমন কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা রোজ করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা? Give up these 5 habits today, to live longer 22 things to know before going to India Adventure Awaits: Top 10 Things to Do in Wari Chora, South Meghalaya
Top 25+ ULTIMATE INTERNATIONAL TRAVEL CHECKLIST এমন কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা রোজ করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা? Give up these 5 habits today, to live longer 22 things to know before going to India Adventure Awaits: Top 10 Things to Do in Wari Chora, South Meghalaya
Enable Notifications OK No thanks