সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

1
144
যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে সহস্র শৈবালদাম বাঁধে আসি তারে; যে জাতি জীবনহারা অচল অসাড় পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার ।
যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে সহস্র শৈবালদাম বাঁধে আসি তারে; যে জাতি জীবনহারা অচল অসাড় পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার ।
Advertisements
Rate this post

সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

মূলভাৰ : শিক্ষা তখন সুশিক্ষা হয় যখন সেই শিক্ষা মানব উন্নয়নে, জাতির শুভকর্মে ভূমিকা রাখে। আর সুশিক্ষিত হওয়ার একমাত্র উপায় নিজের চেষ্টায় শিক্ষা গ্রহণ অর্থাৎ স্বশিক্ষা অর্জন।

সম্প্রসারিত ভাব : জ্ঞান সীমাহীন। জ্ঞান শিক্ষার বিষয় নয়, অর্জনের বিষয়। পৃথিবীর সর্বত্রই রয়েছে জ্ঞানের উপাদান, শিক্ষার্থীকে তা অর্জন করতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সামান্য বই-পুস্তক মুখস্থ করে সনদ পাওয়ার মাধ্যমে যতটুকু শিক্ষা হয় ততটুকু। কিন্তু তাতে প্রকৃত শিক্ষা হয় না। বিবিধ প্রাকৃতিক উপাদান যখন নিজের বোধি সহযোগে আত্মস্থ করা যায়, তখনই সে হয়ে ওঠে সুশিক্ষিত। সুশিক্ষিত যে সে-ই মূলত স্বশিক্ষিত। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুরু উত্তর-সাধক মাত্র, গুরু কেবল পথ দেখাতে পারেন, গুরুর দেখানো পথে নিজের মতো করে শিক্ষার বিষয়কে আত্মস্থ করা, উপলব্ধিতে আনাই সুশিক্ষার লক্ষণ।

আর এই শিক্ষা কোনো প্রতিষ্ঠান দিতে পারে না। যে শিক্ষা মানুষকে, তার আত্মাকে বিকশিত করে, সেই শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। যারা প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করে তারাই সুশিক্ষিত। পৃথিবীতে অনেক সুশিক্ষিত লোক আছেন-যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষিত নন, কিন্তু সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত। স্বশিক্ষিত মানুষ তার অধ্যবসায় দিয়ে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জ্ঞানকে লালন করে হয়ে ওঠে সুশিক্ষিত। জীবনকে উপলব্ধি করতে শেখে। আর এ শিক্ষা অর্জন করা যায় নিজের চেষ্টায়। ফলে স্বশিক্ষিত না হলে সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। সুশিক্ষিত মানুষ মাত্রই স্বশিক্ষিত।

Advertisements

মন্তব্য : স্বশিক্ষার দ্বারাই একজন মানুষ সত্যিকার জ্ঞানী হয়ে ওঠে এবং জ্ঞানকে সমাজ-সভ্যতার বিকাশে কাজে লাগায় । তাই আমাদের মধ্যে স্বশিক্ষার মাধ্যমে সুশিক্ষিত হওয়ার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত ।

আরও পড়ুন……

সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

Advertisements

Leave a Reply