স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুচ্ছেদ
পৃথিবীতে যেসব দান মহৎ কিংবা মহত্ত্বর হিসেবে পরিগণিত রক্তদান এর মধ্যে অন্যতম। মুমূর্ষু ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে রক্তদানের কোনো বিকল্প নেই। কারণ প্রয়োজনীয় রক্তের জোগাড়ে অর্থ নয়, একজন রক্তদাতার ভূমিকা সবচেয়ে বড় বিষয়। অনেক সময় প্রয়োজনীয় রক্তের অভাবে মুমূর্ষু ব্যক্তি মারাও যান। তাই অন্যের জীবন বাঁচাতে রক্তদান করা শুভচেতনাসম্পন্ন যেকোনো লোকই এখন মহৎ কর্তব্য বলে মনে করেন। মুমূর্ষু মানুষকে বাঁচাতে রক্তদান করতে ছুটে যায় আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ছাত্র-যুবক, নারী-পুরুষ-যেকোনো সেবাব্রতী সচেতন মানুষ। রক্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে ব্লাড ব্যাংক। আপন ভাই-বোন, বাপ-মা, ছেলে-মেয়ে যেকোনো স্বজন রক্তদান করতে পারে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে।
সাধারণত ১৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী সুস্থ দেহের অধিকারী যেকোনো লোকই রক্তদান করতে পারেন। তবে রক্ত গ্রহণ করার আগে রক্তে সংক্রামক রোগের জীবাণু আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিতে হয়। এ ছাড়া রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ ও সঠিক পন্থায় রক্ত সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সুস্থ, সবল ও নীরোগ দেহ থেকে এককালীন ২৫০ সিসি রক্ত নেওয়া যায়। এ ক্ষতি পুষিয়ে যায় মাত্র সাত দিনে এবং প্রতি তিন মাস অন্তর রক্তদান করা যায়। এতে শরীরের ক্ষতি হয় না, বরং রক্ত পরিষ্কার হয়। এক ব্যাগ রক্ত জীবন বাঁচাতে পারে একজন মুমূর্ষু ব্যক্তির। তাই রক্ত দিতে এগিয়ে আসতে হবে, বাঁচাতে হবে অমূল্য জীবন। অন্যদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে, বাঁচাতে হবে মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তিকে। জীবনের সার্থকতা এতেই নিহিত।
আরও পড়ুন……
- জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ
- রেলগাড়ি অনুচ্ছেদ
- সুন্দরবন অনুচ্ছেদ
- মে দিবস অনুচ্ছেদ
- গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ
- বেকার সমস্যা অনুচ্ছেদ
[…] স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুচ্ছেদ […]