Advertisements

ঈদুল ফিতর অর্থ কি | ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম | ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

Author:

Published:

Updated:

পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত |ফজরের নামাজের ফজিলত
Advertisements

ঈদুল ফিতর অর্থ কি | ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম | ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

Rate this post

ঈদুল ফিতর অর্থ কি | ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম | ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

ঈদ শব্দের অর্থ কী ?

‘ঈদ’ হচ্ছে আরবী শব্দ। এর অর্থ- উৎসব, পুনরাগমন, পুনরাবৃত্তি। আরবী ভাষাবিদগণ বলেন- আরবী عيد শব্দটি আরবী হরফ ع و د সমৃদ্ধ عود ধাতু হতে গঠিত। এর অর্থ পুনরাগমন। প্রতি বছর পর্যায়ক্রমে এই ঈদের পুনরাগমন হয় বলেই একে ঈদ বলে।

ঈদ সারা বিশ্বের মুসলিমদের ঘরে-ঘরে বয়ে আনে আনন্দের সওগাত। এই বিশ্ব চরাচরে মানুষ যে কত রকমের রয়েছে, তার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। কেউ কালো, কেউ সাদা, কেউ তামাটে, কেউ বেঁটে কেউ লম্বা, কেউ চিকন, কেউ মোটা, কারও চুল কোঁকড়ানো, কারও সরু-মসৃণ এছাড়াও আছে কেউ মহিলা কেউ পুরুষ, কেউ শিক্ষিত, কেউ অশিক্ষিত, কেউ ধনী, কেউ গরীব, কেউ শহরবাসী, কেউ গ্রামবাসী, কেউ কৃষক, কেউ শ্রমিক, কেউ চাকুরে, কেউ ব্যবসায়ী, মোটকথা সকল মুসলিমই ঈদের আগমনে আনন্দিত হয়। সকলেই ঈদের আনন্দে শরীক হয়।

কেউ হয়তো যাকাত দিতে পারে না, কিন্তু ঈদ করেনি বা ঈদের আগমনে আনন্দিত হয়নি- এমন মুসলমান বোধহয় কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই ঈদ সারা বিশ্বের মুসলমানদের সার্বজনীন উৎসব। ‘ঈদ’ শব্দ উৎসব অর্থে কুরআনেও ব্যবহৃত হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে-

قال عيسي بن مريم اللهم ربنا أنزل علينا مائدة من السماء تكون لنا عيدا لأولنا وآخرنا و آية منك- وارزقنا وأنت خير الرازقين-

অর্থঃ মরিয়মের পুত্র ঈসা আলাইহিস সালাম বললেন-

হে আল্লাহ! হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্যে আসমান হতে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা প্রেরণ করো। যা আমাদের, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য হবে আনন্দ-উৎসবস্বরূপ এবং তোমার নিকট হতে নিদর্শন এবং আমাদের জীবিকা দান করো, আর তুমিই শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা।(সূরা মায়েদাহঃ আ-৭)

إِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّوْنَ يَا عِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيْعُ رَبُّكَ أَن يُنَزِّلَ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاءِ قَالَ اتَّقُوْا اللهَ إِنْ كُنْتُم مُّؤْمِنِيْنَ- قَالُوْا نُرِيْدُ أَن نَّأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ قُلُوْبُنَا وَنَعْلَمَ أَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُوْنَ عَلَيْهَا مِنَ الشَّاهِدِيْنَ- قَالَ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاءِ تَكُوْنُ لَنَا عِيْداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِيْنَ- قَالَ اللهُ إِنِّيْ مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَن يَّكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَإِنِّيْ أُعَذِّبُهُ عَذَاباً لاَّ أُعَذِّبُهُ أَحَداً مِّنَ الْعَالَمِيْنَ- (المائدة ১১২-১১৫)-

‘যখন হাওয়ারীরা বলল, হে মারিয়াম-পুত্র ঈসা! আপনার পালনকর্তা কি এরূপ করতে পারেন যে, আমাদের জন্য আকাশ থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করে দেবেন? তিনি বললেন, যদি তোমরা ঈমানদার হও, তবে আল্লাহকে ভয় কর’ (মায়েদাহ ১১২)। ‘তারা বলল, আমরা তা থেকে খেতে চাই, আমাদের অন্তর পরিতৃপ্ত হবে এবং আমরা জেনে নেব যে, আপনি সত্য বলেছেন ও আমরা সাক্ষ্যদাতা হয়ে যাব’ (১১৩)।

‘তখন মরিয়াম-তনয় ঈসা বলল, হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের প্রতি আসমান থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতীর্ণ করুন। তা আমাদের জন্য তথা আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্য আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ হ’তে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রূযী দান করুন। আপনিই শ্রেষ্ঠ রূযীদাতা’ (১১৪)।

‘আল্লাহ বললেন, নিশ্চয়ই আমি সে খাঞ্চা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করব। অতঃপর যে ব্যক্তি অকৃতজ্ঞ হবে, আমি তাকে এমন শাস্তি দেব, যে শাস্তি বিশ্বজগতে অপর কাউকে দেব না’ (মায়েদাহ ৫/১১২-১১৫)।

ঈদুল ফিতরের বিবরণ

রমযান মাস শেষ হওয়ার পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখ যে ঈদোৎসব অনুষ্ঠিত হয়, সেটাই ঈদুল ফিতর ৷ ঈদ শব্দের অর্থ খুশি বা আনন্দ ৷ রযমান মাসের রােযাগুলো মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশ অনুযায়ী পালনের জন্য এবং শয়তান ও কু-রিপুর সাথে বিজয় আনন্দে এ ঈদ বা খুশির উৎসব অনুষ্ঠিত হয় বলে, গরীব-মিসকীনকে রোযার ফিতরা ইত্যাদি দান করা হয় বলে এবং কিছু খেয়ে রােযা ভঙ্গ করা হয় বলে এ দিনঢির নাম ঈদুল ফিতর রাখা হয়েছে ।

এ দিন সূর্যোদয়ের পর থেকে দ্বিপ্ৰহরের পূর্ব পর্যন্ত যে কোন সময় অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সাথে দু’রাকাআত নামায আদায় করতে হয় ৷ এটা আদায় করা ওয়াজিব ।

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম জেনে নিন

ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ ?

এই দিনে পুরুষদের জন্য সকালে ঈদের সালাত আদায় করা ওয়াজিব। সর্বশক্তিমান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দিয়েছেন, সুতরাং আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন এবং দান করুন। (সূরা আল কাওহার: আয়াত 2)

জানার বিষয় হল, ওয়াজিব বিধান কি অবশ্যই আমল করতে হয় ? এই নামাজ পড়া কি জরুরি?

হ্যাঁ, ফরজ আইন যেমন আবশ্যক বা পড়তেই হবে, তেমনি ওয়াজিব আইনও প্রয়োজনীয় ও প্রয়োজনীয়। মূলত ফরজ ও ওয়াজিব মানে একই জিনিস (অর্থাৎ ওয়াজিবকে ফরজের কাছাকাছি ধরা হয়)। উভয়ের অর্থ – আবশ্যক , অপরিহার্য , অপরিহার্য ।

কেউ যদি দায়িত্ব বা কর্তব্য পরিত্যাগ করে তবে সে গুনাহগার এবং অস্বীকার করলে সে কাফের।

সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখুন

ঈদুল ফিতর অর্থ কি | ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম | ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম | ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম | ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম


ঈদের নামাজের নিয়ম মহিলাদের,
ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম,
ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে,
ঈদের নামাজ কয় তাকবীর,
ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব,
ঈদের নামাজের দোয়া,

ইসলামের দুই ঈদ কখনো ও কি কি

ইসলামে দুটি দিনকে আনন্দ উদযাপন করার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। একটি ঈদুল ফিতর এবং দ্বিতীয়টি ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতর রমযান মাসের পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে এবং ঈদুল আযহা জিলহজ মাসের দশম তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই ঈদের দিনই মূলত মুসলিম জাতির ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবের দিন। হাদীসে নববীতে দুই ঈদের বর্ণনা, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

قدم النبي صلي الله عليه وسلم المدينة ولهم يومان يلعبون فيهما- فقال ما هذان اليومان؟ قالوا: كنا نلعب فيهما في الجاهلية- فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم: قد أبدلكم الله بهما خيرا منهما يوم الأضحي ويوم الفطر-

অর্থঃ মদীনায় এসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখতে পেলেন- মদীনাবাসী বছরের দুটি নির্দিষ্ট দিনে উৎসব পালন করে। তিনি তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন- এই বিশেষ দিনে তোমাদের আনন্দ-উল্লাসের কারণ কী? তখন মদীনার অধিবাসীগণ বললো- আমরা জাহেলী যুগে এই দুই দিনে এভাবে উৎসব পালন করতাম। (যা আজ পর্যন্ত প্রচলিত।) তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহ তা’আলা তোমাদের এই উৎসবের পরিবর্তে অন্য দু’টি দিন তোমাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। একটি ঈদুল ফিতর, অন্যটি ঈদুল আযহা। (মা’আরিফুল হাদীসঃ ৩/৩৯৮)

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম, ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ, ঈদের নামাজের নিয়ম মহিলাদের,

ঈদুল ফিতরের দিন যখন আসে, আল্লাহ তা’আলা রোযাদার লোকদের পক্ষে গর্ব করে ফিরিশতাদের বলেন- হে আমার ফিরিশতাগণ! তোমরাই বলো, কী বদলা হতে পারে সে শ্রমিকের, যে নিজের দায়িত্ব পূর্ণভাবে আদায় করেছে। ফিরিশতাগণ আরয করেন- হে মা’বুদ! উপযুক্ত বদলা হলো যথাযথ মজুরি (পারিশ্রমিক) প্রদান করা।

আরো পড়ুন : পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত |ফজরের নামাজের ফজিলত

আল্লাহ তা’আলা বলেন- আমার বান্দা ও বান্দীগণ আমার দেওয়া কর্তব্য আদায় করে তাকবীর ধ্বনির সাথে সালাত আদায় করার জন্য ঈদগাহের দিকে বের হয়েছে। আমার ইজ্জত ও বুযুর্গীর কসম, আমার দয়া, দান ও মহত্ত্বের কসম, আমি তাদের দো’আ অবশ্যই কবুল করবো।

তারপর বান্দাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা’আলা বলেন- যাও। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম। তোমাদের মন্দগুলো পূণ্যে পরিণত করলাম। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- এভাবে তারা ক্ষমার ওয়াদা পেয়ে ঘরে প্রত্যাবর্তন করে।(সুনানে বায়হাকী)

যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত ইবাদতের মাধ্যমে জিন্দা রাখে- তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। ৮ই জিলহজ্জের রাত, আরাফাতের রাত, ঈদুল আযহার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত এবং ১৫ই শাবানের রাত। (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীবঃ হা-২৫৫)

সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- এমন কোনো দিন নেই, যে দিনে কৃত নেক আমল এসব দিন অর্থাৎ জিলহজ্জের প্রথম দশ দিনের নেক আমলের মতো আল্লাহ তা’আলার নিকট সর্বাধিক প্রিয়।

সাহাবীগণ আরয করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ রাস্তায় জিহাদের মতো (নেক) আমলও কি নয়? তিনি বললেন- না। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের মতো নেক আমলও নয়। তবে যে ব্যক্তি তার জান ও মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হলো এবং এর কোনোটা নিয়েই আর ফিরে এলো না, ওই ব্যক্তির এই আমল আল্লাহ তা’আলার কাছে অনুরূপ প্রিয়। (সহীহুল বুখারীঃ ১/১৩২; তারগীব ওয়া তারহীবঃ হা-২৭১; সুনানে আবু দাউদঃ ২/৩৩১)

ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম

পূর্বোল্লেখিত ওয়াক্তে কোন ময়দানে বৃহৎ জামায়াত সহকারে এ নামায আদায় করতে হয় । এ নামাযের জন্য আযান ইকামতের প্রয়োজন নেই । এতে খুৎবাহ পাঠ করতে হয় । এটা নামাযের পরে পড়তে হয় ।

ঈদুল ফিতর নামাযের নিয়ত | ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত

নাওয়াইতু আন উছাল্লিইয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই ছালাতি ঈদিল ফিতরি। মাআ সিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা ইদাইতু বিহাযাল ইমামি। মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা নিয়তঃ “আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকআত ওয়াজিব নামায ছয় । তাকবীরের সাথে কিবলামুখী হয়ে এই ইমামের পিছনে আদায় করছি আল্লাহ। আকবার।”

ঈদুল আযহা নামাযের নিয়ত | ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত

নাওয়াইতু আন উছাল্লিইয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই ছালাতি ঈদিল আযহা। মায়ী সিত্তাতি- তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম। মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা নিয়তঃ “আমি ঈদুল আযহার দুই রাকআত ওয়াজিব নামায ছয় তাকবীরের সাথে কিবলামুখী হয়ে এই ইমামের পিছনে আদায় করছি আল্লাহু আকবার।”

অন্যান্য নামাযের মত নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বেঁধে ছানা পাঠ করতঃ ইমাম উচ্চ স্বরে পর পর তিনটি তাকবীর বলবেন এবং মুক্তাদিগণসহ প্ৰতি তাকবীরে কান পর্যন্ত হাত ওঠাবেন, আবার ছেড়ে দেবেন ৷ অবশ্য শেষ তাকবীরের পর যথানিয়মে হাত বেঁধে ইমাম উচ্চ স্বরে সূরা কিরাত পাঠ করবেন ।

অতঃপর অন্যান্য নামাযের ন্যায় রুকু-সিজদাহ আদায় করে দ্বিতীয় রাকাআতে দাঁড়িয়ে ইমাম উচ্চ স্বরে সূরা-কিরাত পাঠ করবেন । তারপর রুকুতে যাওয়ার আগে পূর্বের রাকাআতের নিয়মে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলবেন । তারপর রুকু সিজদাহ করতঃ বসে তাশাহদ, দরূদ পাঠ করবেন । অতঃপর সালামান্তে ইমাম দাঁড়িয়ে জুময়ার খুৎবার ন্যায় দুটো খুৎবা পাঠ করবেন ।

প্রথম খুৎবার পর কিছুক্ষণ বসে পুনরায় দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় খুৎবাহ পাঠ করবেন। ঈদুল ফিতরের নামাজের খুৎবার মধ্যে ছদকায়ে ফিতরের আহকাম বর্ণনা করবেন । এ খুৎবা আরম্ভকালে জুমার খুতবার ন্যায় আযান দিতে হয় না । উভয় খুৎবাহ প্রথমে তাকবীর বলে শুরু করবেন । প্রথম খুতবায় ৯ বার এবং দ্বিতীয় খুতবায় ৭ বার তাকবীর বলবেন । খুৎবা পাঠ শেষে ইমাম হাত উঠিয়ে মূক্তাদিগণসহ মুনাজাত করবেন।

ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম | ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

তাকবীরে তাশরিক

َللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ وَلِله الحَمْدُ

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।

অর্থঃ আল্লাহ মহান ! আল্লাহ মহান ! আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, এবং আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

ঈদের দিনের সুন্নত আমল সমূহ

১। খুব ভোরে নিদ্রাত্যাগ করা।
২। মিসওয়াক করা ।
৩। গোসল করা ।
৪। উত্তম পােশাক পরিধান করা ।
৫। চোখে সুরমা লাগানাে ।
৬। সুগন্ধী ব্যবহার করা ।
৭। নামাযের পূর্বে ইফতার করে মিষ্টান্নাদি আহার করা ।
৮। যথাশীঘ্র নামাযের ময়দানে গমন করা ।
৯। নামায পড়তে যাওয়ার সময় তাকবীরে তাশরীক পড়তে পড়তে যাওয়া ।
১০। যাওয়ার সময় যে রাস্তায় যাবে, নামায শেষে প্রত্যাবর্তনকালে সে রাস্তায় না এসে অন্য রাস্তায় আসা।
১১। নামাযের পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা ।

ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম | ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

ঈদের নামাজের গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল

  • যাদের প্ৰতি জুমার নামায আদায় করা ফরয, ঈদের নামায তাদের প্রতিই আদায় করা ওয়াজিব। আর যাদের প্রতি জুময়ার নামায আদায় করা ফরয নয়, তাদের প্রতি ঈদের নামায আদায় করাও ওয়াজিব নয় ৷
  • ঈদের খুৎবা পাঠ করা সুন্নাত ৷ অবশ্য জুমআর খুৎবা পাঠ করা ওয়াজিব ৷
  • ঈদের খুৎবা কোন নাবালেগ পড়লেও যায়েয হয়, পক্ষান্তরে জুমআর খুৎবা কোন নাবালেগ পড়লে জায়েয হবে না ৷
  • ঈদের নামাযের আগে-পরে কোন নফল নামায নেই ৷
  • একই ব্যক্তি একস্থানে ঈদের নামাযের ইমামতি করে আবার অন্য স্থানে একই ঈদের নামায পড়াতে পারবে না । অবশ্য খুত্বা পাঠ করতে পারবে ৷
  • শুক্রবার দিন ঈদের নামায পড়ে যথাসময়ে জুময়ার নামাযও আদায় করতে হবে ৷
  • বহু সংখ্যক লোক ঈদের জামায়াত না পেলে দ্বিতীয় জামায়াত করে তা আদায় করতে পারবে ৷

ঈদের নামাজ পড়লে জুমা পড়া লাগবে কি?

জুমার দিন ঈদ হলে ঈদের নামায পড়লে জুমার নামায না পড়লে কোনো অসুবিধা নেই এটা কতটুকু সঠিক?

ঈদের দিন জুমার বিধান

ঈদের নামায ও জুমার নামায দুটি পৃথক ইবাদত। ঈদের নামায জুমআর নামাযের ফরয পূর্ণ করে না। একই দিনে ঈদের নামাজ এবং জুমার নামাজ একত্রি হলে হানাফি মাযহাব, শাফেয়ী মাযহাব, মালিকি মাযহাব, ইমাম ইবনুল মুনযির , ইমাম ইবনে আবদিল বার, ইমাম ইবনে হাযম জাহেরী এবং জমহুর ওলামায়ে কেরামের মতানুসারে ঈদের নামাজ এবং জুমার নামাজ দুটিই নির্ধারিত সময়ে আদায় করতে হবে।

জুমার দিনে ঈদ হলে ঈদ ও জুমা উভয়টিই পড়তে হবে। ঈদের নামায পড়লে জুমা পড়া লাগবে না- এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা, ঈদের নামায ও জুমার নামায দুটি পৃথক পৃথক আমল। অন্যদিকে ঈদের নামায ওয়াজিব আর জুমার নামায ফরয। সুতরাং একটি আদায় করে আরেকটি বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর সপক্ষে হাদীসের অনেক সুস্পষ্ট প্রমাণও রয়েছে।

জুমার দিন ঈদ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় নামাযই পড়তেন। সহীহ হাদীস দ্বারা এটিই প্রমাণিত। এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে জুমার নামায না পড়ার কোনো প্রমাণ নেই। সূত্র : মাসিক আলকাউসার

get study online telegram channel
Advertisements


Related Posts

About the author

Advertisements

Advertisements

Leave a Reply

Advertisements
Back to top arrow
Top 25+ ULTIMATE INTERNATIONAL TRAVEL CHECKLIST এমন কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা রোজ করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা? Give up these 5 habits today, to live longer 22 things to know before going to India Adventure Awaits: Top 10 Things to Do in Wari Chora, South Meghalaya
Top 25+ ULTIMATE INTERNATIONAL TRAVEL CHECKLIST এমন কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা রোজ করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা? Give up these 5 habits today, to live longer 22 things to know before going to India Adventure Awaits: Top 10 Things to Do in Wari Chora, South Meghalaya
Top 25+ ULTIMATE INTERNATIONAL TRAVEL CHECKLIST এমন কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা রোজ করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা? Give up these 5 habits today, to live longer 22 things to know before going to India Adventure Awaits: Top 10 Things to Do in Wari Chora, South Meghalaya
Enable Notifications OK No thanks