বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

0
121
অফিস ছুটির জন্য আবেদন
অফিস ছুটির জন্য আবেদন
Advertisements
Rate this post

বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ

বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ
বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ

পহেলা বৈশাখ বাঙালির জাতীয় জীবনের এক অন্যতম অনুষঙ্গ। বাংলা বর্ষের প্রথম এ দিনকে ঘিরে তাই চলে বর্ষ বরণের নানা প্রস্তুতি। আর বৈশাখী মেলা হলো নববর্ষের সর্বজনীন অনুষ্ঠানগুলোর অন্যতম। নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ, পহেলা বৈশাখ থেকে বাংলাদেশে ছোট-বড় অনেক মেলা শুরু হয়। স্থানীয় লোকেরাই এসব মেলার আয়োজন করে থাকে। মেলার স্থায়িত্বকাল সাধারণত এক থেকে সাত দিন। তবে কোথাও কোথাও এ মেলা সারা বৈশাখ মাস ধরে চলে। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলার নেকমর্দানে পহেলা বৈশাখে যে মেলা বসে, তা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এবং জাঁকজমকপূর্ণ মেলা।

সাধারণত এ মেলা এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। উত্তরবঙ্গের এমন বস্তু নেই যা এ মেলায় পাওয়া যায় না। এ মেলাকে সর্বসাধারণের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। নাচ, গান, নাগরদোলা প্রভৃতি মেলার হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে বিবেচিত। মেলার দিনগুলোতে ছেলে- বুড়ো সবার মাঝেই বিরাজ করে সাজসাজ রব। বৈশাখের মেলাগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় এ দেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী, যা বাঙালির ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বলে বিবেচিত। বৈশাখী মেলা বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের মিলনমেলা।

এ মেলা সকলের প্রাণে এনে দেয় খুশির বন্যা, ধুয়ে-মুছে দেয় সারা বছরের কর্মক্লান্তি ও মানসিক অশান্তি। আমরা বৈশাখী মেলায় নতুন করে বাঙালি ঐতিহ্য লালন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা লাভ করি। তাই বাংলা বছরের শেষের দিক এলেই আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি পহেলা বৈশাখের জন্য, বৈশাখজুড়ে মেলার জন্য। সারা বছরের ভালোলাগাও খুঁজে নিই এ মেলা থেকে। এজন্য আমাদের সবার উচিত বৈশাখের মেলাকে লালন-পালন করা এবং এর আবহ সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়া।

Advertisements

আরও পড়ুন……

Advertisements

Leave a Reply