এইডস অনুচ্ছেদ
এইডস একধরনের ভাইরাসঘটিত রোগ। ১৯৮৩ সালে ফরাসি গবেষক লুক মনটরগনিয়ার এবং ১৯৮৭ সালে আমেরিকার রবার্ট গ্যালো আবিষ্কার করেন ভাইরাস ঘটিত এজেন্ট HIV (Human Immunodeficiency Virus) টাইপ ওয়ান থেকে এইডস রোগের সৃষ্টি। কিছু রোগ বিস্তারকারী ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণের মুখে টিকে থাকার জন্য যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মানুষের রয়েছে তা এ রোগের ফলে ধ্বংস হয়ে যায়।
এ রোগের এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই রোগাক্রান্ত ব্যক্তি অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয় এবং অবশেষে অকালে বেদনাদায়ক মৃত্যুবরণ করে। আমেরিকা এবং আফ্রিকাতে সর্বোচ্চসংখ্যক এইডস রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এ ভয়াবহ রোগটি এশিয়ার দেশগুলোতে একইভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও এইডস ভাইরাস চিকিৎসার জন্য গবেষণা এবং এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখনো কোনো ইতিবাচক প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে বিশ্বে এইট্স রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ। আমাদেও দেশেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এইট্স রোগীর সংখ্যা। UNAIDS-এর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে এইট্স রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩৪, এইডস্ থেকে মৃত্যুর সংখ্যা ৭৪, এইচআইভি পজিটিভ মানুষের সংখ্যা ৬৫৮। দেশে এইট্স রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। মারা গেছে ১৩৪২ জন। কেবল ২০১৯ সালেই আক্রান্ত হয়েছে ৯১৯জন এবং মারা গেছে ১৭০ জন।
নিঃসন্দেহে এটি আমাদের দেশের জন্য এক আতঙ্কজনক পরিসংখ্যান। আর এর প্রধান কারণ এইট্স সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। তাই এইট্স কী, বেঁচে থাকার জন্য তা আমাদের জানতে হবে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যেমন অসাবধানী যৌনাচার এবং পরীক্ষণবিহীন রক্ত গ্রহণ বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এইডস সংক্রমণের অন্যতম মারাত্মক ফল হচ্ছে রোগীর ওপর আরোপিত সামাজিক কলঙ্ক এবং অবশেষে মৃত্যু।
আরও পড়ুন……
- Essay on Computer | for JSC, SSC, HSC Students
- ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ | এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
- হরতাল অনুচ্ছেদ | এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
- বেকার সমস্যা অনুচ্ছেদ