Table of Contents
আলাে বলে অন্ধকার তুই বড়াে কালাে, অন্ধকার বলে ভাই তাই তুমি আলো
মূলভাব: সৃষ্টিকর্তা আলো-অন্ধকার সৃষ্টি করেছেন। আলো আছে বলে আঁধার আছে । আঁধার আছে বলে আলোর পরিচয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আলো এবং অন্ধকার পরস্পর বিপরীত ধর্মী হলেও একে অপরের পরিপূরক। মানবজীবনের সর্বত্রই আলো আঁধার রূপ সুখ-দুঃখের সমাবেশে দেখতে পাওয়া যায়। জীবনে আলো-আঁধার, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার পাশাপাশি আছে বলেই জীবনের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য সহজে অনুবাধন করা যায়।
সম্প্রসারিত ভাব: আমরা যে আলাে-আঁধার দেখি তা স্রষ্টার দুটি রহস্যময় সৃষ্টি। উভয়ই সৃষ্টিকর্তার দান। উভয়ই জীবনের জন্য অপরিহার্য। একটি ছাড়া অপরটির কথা কল্পনাও করা যায় না। প্রশ্নোক্ত কবিতাংশে আলাে অন্ধকারকে ব্যঙ্গ করে বলছে যে, সে খুব কালাে। যার প্রত্যুত্তরে অন্ধকার বলছে সে আছে বলেই আলাের স্বরূপটি প্রতিভাত হয়। ঠিক একইভাবে মানবজীবনে দুঃখ আছে বলে সুখের মর্ম উপলব্ধি করা যায়। সুতরাং সাদা-কালাে, পাহাড়-সমতল, মরুভূমি-সমুদ্র- এ সবই প্রকৃতির অংশ। পারস্পরিক বৈপরীত্যের সমন্বয়ে সবকিছুর ভারসাম্য রক্ষিত হয়।
বিচিত্র এ পৃথিবীতে কোথাও দেখা যায় অরণ্যের গহিনতা, আবার কোথাও সবুজের চিহ্নমাত্র নেই। কোথাও প্রাণের বিচিত্র লীলা তরঙ্গায়িত হচ্ছে, আবার কোথাও দেখা যায় নিস্পাপ জড়বস্তু স্থির হয়ে আছে। বিশ্বের সবকিছুরই বৈপরীত্য আছে বলেই আমরা সূর্যালােকে পৃথিবীময় প্লাবিত থাকতাে, তাহলে আলাের কোনাে মূল্য থাকতাে না। অন্ধকার এসে দিনের আলােকে গ্রাস করে বলেই আলাের মর্ম আমরা সঠিকভাবে বুঝতে পারি।
সকালের সােনালি সূর্যের অপেক্ষায় থাকি। আবার যদি চির অন্ধকারের মধ্যে দিন কাটাতে হতাে তাহলে আমরা আলাের মর্ম বুঝতে পারতাম না। যদি অভাববােধ না থাকতাে, তাহলে মানব প্রগতি বহুকাল আগেই থেমে যেত। অতৃপ্তি না থাকলে জ্ঞানবিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধিত হতাে না, বেদনা না থাকলে মহৎ কাজ কোনােদিনই সংঘটিত হতে পারতাে না। বাস্তব জীবনে ভালাে-মন্দ, ইতর-ভদ্র, সুজন-কুজন পারস্পরিক পার্থক্য থাকার কারণেই পৃথিবী আমাদের কাছে এত আকর্ষণীয়। মন্দ আছে বলেই আমরা ভালাের মর্যাদা উপলব্ধি করতে পারি।
মন্তব্য: ভালাে-মন্দ হচ্ছে একে অন্যের পরিপূরক। সুতরাং পৃথিবীর কোনােকিছুকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়। প্রতিটি সৃষ্টিই কোনাে না কোনাে প্রয়ােজন মিটিয়ে চলেছে।
আলাে বলে অন্ধকার তুই বড়াে কালাে, অন্ধকার বলে ভাই তাই তুমি আলো
আরও পড়ুন……
- ভাবসম্প্রসারণ : কীর্তিমানের মৃত্যু নাই SSC HSC JSC
- ভাব-সম্প্রসারণ : বার্ধক্য তাহাই – যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে, মৃত্যুকে আঁকড়িয়া পড়িয়া থাকে।
- ভাবসম্প্রসারণ : বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
- ভাব-সম্প্রসারণ : মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয় ।
- ভাব-সম্প্রসারণ : বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।
- ভাব-সম্প্রসারণ : প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
- ভাব-সম্প্রসারণ: আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে।
- ভাব-সম্প্রসারণ : মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে, হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।
- ভাব-সম্প্রসারণ : যে সহে, সে রহে।
- ভাব-সম্প্রসারণ : ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ।
- ভাব-সম্প্রসারণ: জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো।
- ভাব-সম্প্রসারণ: ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
- ভাবসম্প্রসারণ: গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।
- ভাব-সম্প্রসারণ : অভাবে স্বভাব নষ্ট
- ভাব-সম্প্রসারণ : অসির চেয়ে মসি বড়
- ভাব-সম্প্রসারণ : অধিকার পাওয়া এবং অধিকারী হওয়া এক বস্তু নয়
- ভাব-সম্প্রসারণ : অধর্মের ফল হইতে নিষ্কৃতি নাই
- ভাব-সম্প্রসারণ : অনুকরণের দ্বারা পরের ভাব আপন হয় না অর্জন না করলে কোন বস্তুই নিজের হয় না
- সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ। ভাবসম্প্রসারণ SSC HSC
- পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি