বিশেষ্য কাকে বলে ? বিশেষ্য পদ কত প্রকার ও কি কি?
বিশেষ্য কাকে বলে ?
যেসব শব্দ দিয়ে ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান, বস্তু, ধারণা ও গুণের নাম বোঝায়, সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। যেমন- নজরুল, বাঘ, ঢাকা, ইট, ভোজন, সততা ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদ কত প্রকার ও কি কি?
বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ
বিশেষ্য সাধারণত ছয় প্রকার:
১. নাম-বিশেষ্য,
২. জাতি-বিশেষ্য,
৩. বস্তু-বিশেষ্য,
৪, সমষ্টি-বিশেষ্য,
৫. গুণ-বিশেষ্য এবং
৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য।
১. নাম-বিশেষ্য:
ব্যক্তি, স্থান, দেশ, কাল, সৃষ্টি প্রভৃতির সুনির্দিষ্ট নামকে নাম-বিশেষ্য বলা হয়।
যেমন-
ব্যক্তিনাম: হাবিব, সজল, লতা, শম্পা।
স্থাননাম: ঢাকা, বাংলাদেশ, হিমালয়, পদ্মা।
কালনাম: সোমবার, বৈশাখ, জানুয়ারি, রমজান।
সৃষ্টিনাম: গীতাঞ্জলি, সঞ্চিতা, ইত্তেফাক, অপরাজেয় বাংলা।
২. জাতি-বিশেষ্য:
জাতি-বিশেষ্য সাধারণ-বিশেষ্য নামেও পরিচিত। এ ধরনের বিশেষ্য নির্দিষ্ট কোনো নামকে না বুঝিয়ে প্রাণী ও অপ্রাণীর সাধারণ নামকে বোঝায়।
যেমন- মানুষ, গরু, ছাগল, ফুল, ফল, নদী, সাগর, পর্বত ইত্যাদি।
৩. বস্তু-বিশেষ্য:
কোনো দ্রব্য বা বস্তুর নামকে বস্তু-বিশেষ্য বলে।
যেমন- ইট, লবণ, আকাশ, টেবিল, বই ইত্যাদি।
৪. সমষ্টি-বিশেষ্য:
এ ধরনের বিশেষ্য দিয়ে ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টিকে বোঝায়। যেমন- জনতা, পরিবার, ঝাঁক, বাহিনী, মিছিল ইত্যাদি।
৫. গুণ-বিশেষ্য:
গুণগত অবস্থা ও ধারণার নামকে গুণ-বিশেষ্য বলে।
যেমন- সরলতা, দয়া, আনন্দ, গুরুত্ব, দীনতা, ধৈর্য ইত্যাদি।
৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য দিয়ে কোনো ক্রিয়া বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়া-বিশেষ্য বলে।
যেমন – পঠন, ভোজন, শয়ন, করা, করানো, পাঠানো, নেওয়া ইত্যাদি।
আরও পড়ুন……
- প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ
- অর্থানুসারে শব্দ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা।
- উপসর্গ কাকে বলে ? উপসর্গের চারটি প্রয়োজনীয়তা।
- সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করুন। উদাহরণ যোগে বৈশিষ্ট্যগুলোর ব্যাখ্যা।
- শব্দের শ্রেণিবিভাগ (বাংলা ২য় পত্র)
- বিশেষ্য পদ কাকে বলে ?
- ভাষা আন্দোলন রচনা
- পাঠাগার স্থাপনের জন্যে আবেদনপত্র
- ১৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা SSC, HSC ও চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য
- ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ সমার্থক শব্দ SSC, HSC ও চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য
- English Sentence Structure | ইংরেজিতে শত শত বাক্য তৈরির ১০ টি স্ট্রাকচার | 10 Best Structures Rules