প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া সমূহ | শ্রেষ্ঠ দোয়া সমূহ | দোয়া english meaning

1
147
পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত |ফজরের নামাজের ফজিলত
পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত |ফজরের নামাজের ফজিলত
Advertisements
5/5 - (10 votes)

প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া সমূহ | শ্রেষ্ঠ দোয়া সমূহ | দোয়া english meaning

দোয়া বা প্রার্থনা ইবাদতের মস্তিষ্ক। ইসলামে, প্রার্থনা একটি পৃথক ইবাদত। “আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে সম্মানিত আর কিছু নেই” (ইবনে মাজাঃ ৩৮২৯)। যারা অহংকারবশত এই দোয়া ত্যাগ করে তাদের জন্য পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারবশত আল্লাহর ইবাদত করে না তারা অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সূরা আল মুমিন : ৬০)

দুআ ভাগ্য পরিবর্তনে অসামান্য ভূমিকা পালন করে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিয়তির বিরুদ্ধে সতর্ক করে কোন লাভ নেই। যা ঘটেছে এবং যা ঘটতে পারে তা থেকে – কেবল দোয়া বা প্রার্থনাই মুক্তি দিতে পারে। কিছু প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে, দোয়া শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত লড়াই করতে থাকবে ।’ (তাবারানী আওসাত: ১৫১৯)

ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল | ঋণ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

ঋণমুক্তির দোয়া – যারা ঋণগ্রস্থ তাদের জন্য হুযুরে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন ।

Advertisements

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ (বুখারি: ২৮৯৩)
অথবা

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ

‘আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করো না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (তিরমিজি: ৩৫৬৩)

শিরক থেকে বাঁচার দোয়া

জানা-অজানা শিরক থেকে বাঁচার দোয়া

ااَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أشْرِكَ بِكَ وَاَنَا أَعْلَمُ وَاَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন-আশরিকা বিকা, ওয়া আনা আ’লামু; ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আ’লামু’।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি জেনেশুনে আপনার সাথে শরীক করা থেকে আপনার আশ্রয় চাই এবং আমি যা জানি না তা থেকে আপনার কাছে ক্ষমা চাই।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ: ৫৫১)

O Allah, I seek Your refuge from knowingly associating with You and I seek Your forgiveness from what I do not know.

বিপদ-অশান্তি থেকে মুক্তির ৩ আমল ও দোয়া

বিপদাপদ থেকে বেঁচে থাকতে তিন আমলের উপদেশ দিয়েছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাহলো-

১. দান-সাদকা করা
২. ইসতেগফার করা
৩. দরুদ পড়া

বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

তাই একজন মুমিন মুসলমান বিপদে পড়লে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে উল্লেখিত আমলগুলো সঠিকভাবে আদায় করলে বিপদমুক্ত হওয়া সম্ভব। বিপদ ও সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য মুমিনের বিশেষ কার্যকরী দুআ হল-

সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ – الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ – مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ – إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ – اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ – صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

এই সূরার বিশেষ একাধিক নাম হল- আল-কাফিয়াহ বা যথেষ্ট, আশ-শাফিয়াহ বা নিরাময়কারী। যেহেতু এটি আল্লাহর প্রশংসায় একটি সূরা তাই এই সূরাটির বৈধতা হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত।

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।
অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।
অনুবাদ : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : আররহমা-নির রাহি-ম।
অনুবাদ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ

উচ্চারণ : মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।
অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

উচ্চারণ : ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন
অনুবাদ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

উচ্চারণ : ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম
অনুবাদ : আমাদের সরল পথ দেখাও।

صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণ : সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।
অনুবাদ : সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

اَللهُ… اللهُ رَبِّىْ لَا اُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু… আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ!… আল্লাহ তুমিই আমার প্রভু। আমি তোমার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (আবু দাউদ)

لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّى كَنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বলিমিন।’

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই; আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (তিরমিজি)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে দুঃখ, বিপদ বা দুশ্চিন্তা ও দুর্দশা থেকে মুক্তির জন্য এই দোয়াটি পাঠ করতে উত্সাহিত করেছেন:

حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْل – نِعْمَ الْمَوْلِى وَ نِعْمَ النَّصِيْر

উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নেমাল ওয়াকিল; নেমাল মাওলা ওয়া নেমান নাছির।’

অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কাজ সম্পাদনকারী। আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।’

لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله

উচ্চারণ : ‘লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’

অর্থ : ‘আল্লাহর সাহায্য ব্যতিত কোনো উপায় নেই আর কোনো ক্ষমতাও নেই।’ এ দোয়াটি জান্নাতের গোপন ভাণ্ডারসমূহের একটি। বিপদ ও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বহু মানুষ থেকে পরিক্ষীত দোয়াও এটি।

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ – أَستَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ; আস্‌তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’

অর্থ : ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ، وَرَبُّ الْأَرْضِ، وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আ’রশিল কারিম।’

অর্থ : ‘আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি অতি মহান, অতি সহনশীল। আল্লাহ ব্যতিত কোনো সত্য ইলাহ বা উপাস্য নেই, তিনি বিশাল আরশের মালিক। আল্লাহ ব্যতিত সত্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি আসমান-জমিনের এবং মহান আরশের মালিক।’ (বুখারি)

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِن ضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ দাইনি ওয়া ক্বাহরির রিজাল।’ (তিরমিজি)

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ ((বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি ও মিশকাত)

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কষ্ট পেতেন বা চিন্তিত, অস্থির বা হতাশাগ্রস্ত থাকতেন তখন বলতেন:

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ

উচ্চারণ : ইয়া- হাইয়ু ইয়া- ক্বাইয়ূ-মু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।

অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’ (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)

হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুস্থদের দুআ হলো-

اَللّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُوْ فَلَاتَكِلْنِىْ اِلَي نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ وَ أَصْلِحْ لِيْ شَانِي كُلُّهُ لا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরঝু ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি; ত্বারফাতা আইন; ওয়া আসলিহলি শানি কুল্লুহু; লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা। (আবু দাউদ, মিশকাত)

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার দয়া কামনা করি। তুমি আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও আমার নিজের হাত ছেড়ে দিও না। বরং তুমি স্বয়ং আমার সমস্ত ব্যাপার ঠিক করে দাও। তুমি ব্যতীত কোনো মা’বুদ নাই।

اِنَّالِلَّهِ وَ اِنَّا اِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ – اَللّهُمَّ اَجِرْنِىْ فِىْ مُصِيْبَتِىْ وَاخْلُفْ لِىْ خَيْرًا مِّنْهَا

উচ্চারণ : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন; আল্লাহুম্মা আযিরনি ফি মুসিবাতি ওয়াখলুফলি খাইরাম মিনহা। (মুসলিম)

যত ছোট বা যত বড় বিপদই হোক না কেন, সর্বদা উল্লেখিত দুআ পাঠ করুন। মনে রাখতে হবে, গায়ে কাঁটা লাগলেও এই দুয়াটি পড়ুন।

ইসমে আজম: আল্লাহুম্মা ইন্নী আস-আলুকা, বিআন্নাকা আনতাল্লা, লা ইলাহা ইল্লা আনতাল আহাদান সামাদান লামিয়ালিদ ওয়ালাম ইয়ুলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ ।

দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ | Bangla dua qunoot

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি এক রাতে রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। তিনি বিছানা থেকে উঠে দুই রাকাত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন এবং বিতর পড়লেন। তিনি প্রথম রাকাতে ফাতিহার পর সূরা আলা পাঠ করলেন। অতঃপর তিনি রুকু ও সিজদা করলেন। দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহা ও কাফিরুন পড়বেন এবং রুকু-সিজদা করবেন। তিনি তৃতীয় রাকাতে ফাতিহা ও ইখলাস পাঠ করেন। অতঃপর তিনি রুকুর পূর্বে কুনুত পাঠ করলেন। (কিতাবুল হুজ্জাহ ১/২০১; নাসবুর রায়াহ: ২/১২৪)

আরো পড়ুন : জানাজা নামাজের নিয়মাবলী | জানাযার নামাযের পদ্ধতি (হানাফী)

বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ দোয়া কুনুত তুলে ধরা হল-

দোয়া কুনুত আরবি :

اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়ানু’মিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা, ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু ওয়ালাকা নুছল্লি, ওয়ানাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া; ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আজাবাকা; ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মুলহিক্।

অনুবাদ : হে আল্লাহ! আমরা আপনাদের সাহায্য চাই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আমি আপনার প্রতি বিশ্বাস করি, আমি আপনার উপর নির্ভর করি এবং আপনার কাছে সমস্ত ভাল জিনিস অর্পণ করি। আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব, অকৃতজ্ঞ নয়। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই কাছে প্রার্থনা করি এবং তোমাকেই সিজদা করি। আপনার কাছে আমরা দৌড়াচ্ছি। আমরা আপনার রহমত কামনা করি এবং আপনার শাস্তিকে ভয় করি। আর তোমার শাস্তি কাফেরদের জন্য নির্ধারিত।

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | Ayatul Kursi Bangla

সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াতটি আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। এটি কুরআনের একটি বিখ্যাত আয়াত। যেহেতু সমগ্র আয়াতে আল্লাহর একত্ব, মর্যাদা ও গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে, তাই আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে অনেক ফজিলত মন্ডিত করেছেন। এটি পাঠ করলে অসংখ্য ফজিলত পাওয়া যায়।

হজরত আবু উমামা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তাকে মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে আর কিছুই বাধা দেবে না। হজরত আবু যর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছে অবতীর্ণ সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত কোনটি? রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেন, আয়াতুল কুরসি।

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ

আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লা তা খুজুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান জাল্লাজি ইয়াশ ফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইজনিহি, ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম মিন ইল মিহি ইল্লা বিমা শা আ, ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলি ইয়ুল আজিম।

আয়াতুল কুরসির বাংলা অর্থ

আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সকল কিছুর পালনকর্তা। তন্দ্রা বা ঘুম তাকে স্পর্শ করতে পারে না। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে যে তার অনুমতি ছাড়া তাকে সুপারিশ করবে? দৃষ্টির আগে বা পিছনে যা আছে সবই তিনি জানেন। তারা তাঁর জ্ঞান থেকে কিছু বাদ দিতে পারে না, তবে যতটা তিনি চান। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে বেষ্টন করে আছে। এবং তাদের ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ।

সাইয়্যিদুল ইসতেগফার: আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বী, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা আহদিকা ওয়া আ‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া , ওয়া আবূউ লাকা বিযাম্বী, ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

চিন্তামুক্ত: হাসবি আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুয়াল আরশিল আযীম

তওবা: আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়াতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যুল আযীম

দরিদ্রতা: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি ওয়াল কিল্লাতি ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলামা।’
মনের ইচ্ছা : আল্লাহুম্মা ইন্নি আছআলুকা বীআন্না লাকাল হামদা লা ইলাহা ইল্লা আনতা আল মান্নানু বাদিউচ্ছামাওয়াতী ওয়াল আরদা । ইয়া জাল জালালী ওয়ালইকরাম । ইয়া হাইয়্যু,ইয়া কাইয়্যুমু ইন্নী আছআলুকা ।
• সুবাহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ।
• রিযিক : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিক ।
• রাব্বিলা তাজারনী ফারদাও ওয়া আংতা খাইরুল ওয়ারিসিন ।
• লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওলাহুল হামদ, ওয়াহুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়ুন ক্বাদির ।
• আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাহ ।
• লা ইলাহা ইল্লাহু মালিকুল হাক্কুল মুবিন ।ইন্নাল্লাহা ইয়াসমায়ু মাইয়াশায়া ।
• শয়তান থেকে মুক্তি : আউজুবিল্লাহিল আজীম। ওয়াবিওজিহিল করীম । ওয়া সুলতানিহিল কাদীম । মিনাসশাইত্বানির রাজীম।
• জান্নাতের দোয়া: লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যুল আযীম
• ক্ষমা:- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি ।
• দোয়া ইউনুস : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন.

মোনাজাত: আল্লাহুম্মা, রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহতা-ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতা-ওয়া কিনা আজাবান নার। রাব্বানা জলামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন। আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুল্মান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রাহীম।

আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া মিন আজাবিন্নারি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ্দাজ্জাল।

হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর ক্রয়কৃত কূপের বর্ণনা
প্রত্যেক রোগেরই প্রতিষেধক রয়েছে - আল হাদীস - রুকইয়াহ কি ?

আরো পড়ুন : এখনো সচল হজরত ওসমানের (রা) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

প্রত্যেক রোগেরই প্রতিষেধক রয়েছে – রুকইয়াহ কি ?

 

Advertisements

1 COMMENT

Leave a Reply