নিয়মিত মিসওয়াক করার উপকারিতা | মিসওয়াক করার নিয়ম

0
159
নিয়মিত মিসওয়াক করার উপকারিতা | মিসওয়াক করার নিয়ম
নিয়মিত মিসওয়াক করার উপকারিতা | মিসওয়াক করার নিয়ম
Advertisements
5/5 - (1 vote)

নিয়মিত মিসওয়াক করার উপকারিতা – মিসওয়াক করার নিয়ম

মিসওয়াক করার উপকারিতা
মিসওয়াক- Picture form Wikipedia

 

নিয়মিত মিসওয়াক করা-কালেমা নাসীবের আমল

■ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উম্মতের জন্যে কঠিন হওয়ার আশংকা না থাকলে আমি তাদেরকে প্রত্যেক উযুর সাথে মিসওয়াক ফরয করে দিতাম।

[তাবারানী / নূরুল ঈমান]

■ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের জন্য গমন করতেন না, যে পর্যন্ত মিসওয়াক না করে নিতেন।

Advertisements

[তাবরানী / নূরুল ঈমান]

■ বিজ্ঞ ওলামাগণ মিসওয়াক ব্যবহারের ৭০ টি উপকারিতা উল্লেখ করেছেন।

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, ‘মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে উঠতেন তখনই অজু করার আগে মিসওয়াক করতেন।’ (আহমদ, আবু দাউদ, মিশকাত, হাদিস নং ৩৫২)

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, নবী-রাসুলদের সুন্নত হলো চারটি। যথা—১. লজ্জা করা, অন্য বর্ণনায় খতনা করা, ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৩. মিসওয়াক করা, ৪. বিয়ে করা, (তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫১)

  • মিসওয়াক জলপাইয়ের বা যয়তুনের ডালের হওয়া উত্তম।
  • মিসওয়াক হতে হবে কনিষ্ঠ আঙুলের মতো মোটা এবং কিছুটা লম্বা।
  • মিওয়াক সবচেয়ে ভালো কাঁচা ও নরম।
  • ডান হাতে মিসওয়াক করা মুস্তাহাব।
  • মিওয়াক ধরার সুন্নত পদ্ধতি হলো- মিসওয়াকের নিচে কনিষ্ঠ আঙুল, বড় আঙুলের সামনের অংশ ওপরের দিকে এবং বাকি আঙুলগুলো (মাঝের তিন আঙুল) মিসওয়াকের ওপরে রাখা।
  • বিসমিল্লাহ বলে মিসওয়াক শুরু করা উত্তম।
  • মিসওয়াক করার আগে ভিজিয়ে রাখা ভালো।
  • ডান দিক থেকে মিসওয়াক শুরু করা ডান হাতে মিসওয়াক করা এবং দাঁতের প্রস্থে ও জিহ্বার দিকে মিসওয়াক করা সুন্নত।

মিসওয়াক কখন করবেন ?

  • নামাজের আগে।
  • ঘুম থেকে উঠার পর।
  • খাবার খাওয়ার পর।
  • অজুতে কুলি করার আগে মিসওয়াক করা। অনেকে ওজুর শুরু করার আগে মেসওয়াক করার কথা বলেছেন।
  • মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত বা কোনও মজলিসে যাওয়ার আগে।
  • মুখে দুর্গন্ধ ছড়ালে মেসওয়াক করা।
  • জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মেসওয়াক করা।

(আদ্দুররুল মুখতার : ১/১১৩, রদ্দুল মুহতার ১/১১৪, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৪৪)

নিয়মিত মিসওয়াক করার উপকারিতা

তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপকারিতাগুলো হচ্ছে:

(১) মিসওয়াক করলে – দাঁত পরিস্কার হয়।

(২) মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

(৩) হযমশক্তি বৃদ্ধি পায়।

(৪) দাঁতের রোগ হয় না।

(৫) দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।

(৬) মুখ থেকে সুঘ্রাণ বের হয়।

(৭) মুখ পবিত্র হয়।

(৮) দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।

(৯) আল্লাহ তায়ালা মিসওয়াককারীর উপর সন্তুষ্ট হন।

(১০) ফেরেশতারা সন্তুষ্ট হন এবং মোসাফাহা করেন।

(১১) শয়তান বেজার হয়।

(১২) নেক কাজে মন রুজু হয়।

(১৩) কফ দূর হয়।

(১৪) ক্বোরআন শরীফ শুদ্ধভাবে পড়তে পারা যায়।

(১৫) উযুর নিয়তে মিসওয়াক করে নামাজ পড়লে মিসওয়াকবিহীন নামাজের চেয়ে প্রতি রাকায়াতে ৭০ গুন বেশী নেকী লাভ হয়।

(১৬) বার্ধক্য দেরীতে আসে।

(১৭) কন্ঠস্বর সুস্পষ্ট হয়।

(১৮) মিথ্যা কথা, গীবত, চোগলখুরী, মোনাফেকী, তোহমত, হারাম খাওয়া, বিনা কারণে কথা বলা ইত্যাদি শরীয়ত বিরোধী কাজ করতে কষ্ট বোধ হয়।

(১৯) মৃত্যুকালে কালেমা তাইয়্যেবা নাসীব হয়।

(২০) মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়।

(২১) পুলসিরাত অতি সহজে পার হতেপারা যায়।

[তরিকুল ইসলাম, ২য় খন্ড / মাসআলা ও মাসায়েল]

উল্লেখ্য, মিসওয়াক করা সুন্নত। ব্রাশ দ্বারা দাঁত পরিস্কার করলে দাঁত পরিস্কার করার সওয়াব হবে, পবিত্রতা অর্জনও হবে কিন্তু সুন্নত আদায় হবে না।

[মাসআলা ও মাসায়েল]

 

আরও পড়ুন……

Advertisements

Leave a Reply