শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

0
123
মে দিবস অনুচ্ছেদ
মে দিবস অনুচ্ছেদ
Advertisements
5/5 - (1 vote)

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। জাতির স্বার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা দরকার। মানুষ ভিন্ন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠে। মানুষ ন্যায়-নীতি, আদর্শ-নিষ্ঠা ইত্যাদি গুণাবলি অর্জন করে আপন সাধনায়। আর সাধনার ক্ষেত্র হলো শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পবিত্র স্থান। এ স্থানের অবমাননা কোনোক্রমেই সমীচীন নয়। কিন্তু আজকাল প্রায়ই লক্ষ করা যাচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা গোলযোগ লেগে আছে। ঔ×ত্য আচরণে শিক্ষাঙ্গন কম্পিত। অস্ত্রের ব্যবহারও কম নয়। রাজনীতির বিষবাষ্পে শিক্ষাঙ্গন উত্তপ্ত, বর্তমান যুগ যন্ত্রণাকাতর। অস্থিরতা, অভাব-অনটন, অত্যাচার-নিপীড়ন বর্তমান জগতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিপুলসংখ্যক লোকের অতি এক ক্ষুদ্র অংশ আমাদের দেশে শিক্ষা গ্রহণে সক্ষম হয়। তাদেরকে শুধু জ্ঞানার্জনে ব্যাপৃত থাকলে চলে না, সমাজসচেতন ব্যক্তি হিসেবেও তাদের অনেক কর্তব্য রয়েছে। এ কর্তব্যের পথ ধরেই শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির প্রবেশ। রাজনীতির সাথে জড়িত হতে গিয়ে ছাত্ররা বর্তমানে বিভিন্ন দল, মতবাদ ও আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। মত ও পথের মিল না থাকায় তাদের মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে। এ অস্থিরতার পথ ধরে তারা উদ্দাম হয়ে ওঠে। এ উদ্দামতা আজ থেকে দু’যুগ আগেও ছিল কিন্তু তখন নীতি ও আদর্শের সংগ্রামে তারা বুদ্ধির পরিচয় দিত। কিন্তু বর্তমানে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ছাত্ররা কোমলমতি, চঞ্চল, উদ্দাম। অতি সহজেই তাদের মনের চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলা যায়।

আমাদের সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনের ছায়া তাদের জীবনেও পড়ে বলে তারা অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়। সুসমাজের অস্থিরতা, রাজনীতির হঠকারিতার শিকার ছাত্ররাও সময় সময় হয়। আর এরই সুযোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসের জন্ম হয়। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে শিক্ষাঙ্গন প্রকম্পিত হয়। রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিতে ছাত্রগণ উন্মত্ত হয়ে ওঠে। ভয় দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না। আজ আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো অনিশ্চিত অস্থিরতার ক্ষেত্র। এখানে মারামারি, দলাদলি লেগেই আছে। আর আছে অস্ত্রের নিদারুণ ঝনঝনানি। অস্ত্রের ব্যবহার কোনোক্রমেই শিক্ষাঙ্গনে কাম্য নয়। ছাত্ররা এসব অত্র কোথায় পায়? কার স্বার্থে ব্যবহার করে? এ প্রশ্ন আজ সকলের মনে। কিন্তু এর একটা সুরাহা করা কারো পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisements

আরও পড়ুন……

Advertisements

Leave a Reply