Table of Contents
রমজান মাসে রোজা রাখার ফজিলত – রোজার ফজিলত – Virtues of fasting in islam
রমযান মাস ও এ মাসে রোজা রাখার ফজিলতঃ
শয়তানকে জিঞ্জিরায় বন্দী করা হয় :-
★ হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরাইরা(রাদ্বিআল্লাহ্ তা’আলা আনহু) ইরশাদ করেন, হুজুর আকরাম হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, যখন রমযান মাস আসে তখন আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়।
(বুখারী শরীফ, খন্ড-১ম, পৃষ্ঠা ৬২৬,হাদীস নং-১৮৯৯)
★ অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়, শয়তানকে শিকলে বন্দী করা হয়। অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, রহমতের দরজা খুলে দেয়া হয়।
(সহীহ মুসলিম, পৃ-৫৪৩,হাদীস নং-১০৭৯)।
রোযা রাখার ফযিলত – রোজার ফজিলত – Virtues of fasting
১) রোযার পুরস্কার আল্লাহ স্বয়ং নিজে প্রদান করবেনঃ হাদীসে কুদসীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, বনী আদমের সকল আমল তার জন্য, অবশ্য রোযার কথা আলাদা, কেননা রোযা আমার জন্য এবং আমিই এর পুরস্কার দিব।’’
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫, ৫৫৮৩ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬০)
২) রোযা রাখা গোনাহের কাফফারা স্বরূপ এবং ক্ষমালাভের কারণ:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রামাদান মাসে রোযা রাখবে, তার পূর্বের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’’
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯১০ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮১৭)
৩) রোযা জান্নাত লাভের পথ – রোজার ফজিলত
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,“জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে যাকে বলা হয় ‘রাইয়ান’। কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবে। অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। রোযাদারগণ প্রবেশ করলে এ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আর কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’’
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৯৭ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৬ )
৪) রোযাদারের জন্য রোযা শাফায়াত করবেঃ
উত্তম সনদে ইমাম আহমাদ ও হাকেম বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য শাফায়াত করবে। রোযা বলবে, হে রব! আমি তাকে দিবসে পানাহার ও কামনা চারিতার্থ করা থেকে নিবৃত্ত রেখেছি। অতএব, তার ব্যাপারে আমাকে শাফায়াত করার অনুমতি দিন।’’
(মুসনাদ, হাদীস নং ৬৬২৬, আল-মুস্তাদরাক, হাদীস নং ২০৩৬)
রোযা রাখার ফযিলত – রোজার ফজিলত – Virtues of fasting
৫) রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মিসকের সুগন্ধির চেয়েও উত্তমঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,‘‘যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ তার শপথ! রোযাদারের মুখের গন্ধ কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে মিসকের চেয়েও সুগন্ধিময়।’’
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৪ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬২)
৬) রোযা ইহ-পরকালে সুখ-শান্তি লাভের উপায়ঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,‘‘রোযাদারের জন্য দু’টো খুশীর সময় রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় এবং অন্যটি স্বীয় প্রভু আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়ার সময়।’’
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫ ও সহীহ মুসলিম, হদীস নং ২৭৬৩)
প্রশ্নঃ রোজা অবস্থায় টিকা দেওয়া যাবে কিনা?
৭) রোযা জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তিলাভের ঢালঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন রোযা রাখে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর বৎসরের দূরত্বে নিয়ে যান।’’
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৮৫ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৭ )
৮) রোযা ঢালস্বরুপঃ
ইমাম আহমাদ বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘রোযা ঢাল স্বরুপ। যা দ্বারা বান্দা নিজেকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে পারে, যেভাবে তোমাদের কেউ একজন যুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করে।’’
(মুসনাদ, হাদীস নং ১৭৯০৯)
৯) জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তী হওয়াঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,‘‘যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তা দ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন’’।
[সহীহ মুসলিম : ২৭৬৭]
১০) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘যে লোক ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া রমজানের একটি রোজা ভেঙে ফেলবে, এরপর সে সারাজীবন রোজা রাখলেও তার ক্ষতি পূরণ হবে না’।
★ তিরমিজী,
★ নাসায়ী,
★ ইবনে মাজাহ,
★ ইবনে খুজায়মাহ
[…] চায় গুগল থেকে। আরো পড়তে পারেন – রমজান মাসে রোজা রাখার ফজিলত চাপ্টারে […]
[…] রমজান মাসে রোজা রাখার ফজিলত […]