মহাবিস্ফোরণ (বিগ ব্যাং) তত্ত্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন কর।
উদ্দেশ্য: মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে ধারণা লাভ।
মহাবিশ্ব আমাদের কল্পনাতীত একটি বড়-খোলা জায়গা। আমরা সবাই এ মহাবিশ্বে আছি। যে বিষয়গুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি না, সেগুলোও এর মধ্যে আছে। এর মধ্যে নক্ষত্রও আছে, যেমন- সূর্য। এমনকি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম জিনিসগুলোও মহাবিশ্বের অংশ, যেমন: এমিবা, এন্টামিবা। আমরা আসলে জানি না মহাবিশ্ব কত বড়। মহাবিশ্বই সবকিছু। এর মধ্যে রয়েছে সকল সস্থান ও সকল পদার্থ এবং শক্তি যা মহাকাশে রয়েছে। ঘড়ির কাঁটা ঘোরা এমনকি সময়ও এ মহাবিশ্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
কোটি কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের সবকিছুই একটি অতি উষ্ণ এবং অতিক্ষুদ্র বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত ছিল। এর ঘনত্ব এতটাই বেশি ছিল যে মহাজগতের সকল কণা ও শক্তি এ ক্ষুদ্র বিন্দুতে আবদ্ধ ছিল। অধিক ঘনত্ব, ভর ও তাপমাত্রার কারণে, এটি প্রবলভাবে বিস্ফোরিত হয় এবং প্রচন্ড বেগে চারদিক বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়তে থাকে। এ বিস্ফোরণের পর বিক্ষিপ্ত কণাসমূহের খুব সামান্য অংশ “মিনিট পার্টিকেল” এ রূপান্তরিত হয়।
তবে এ ‘সামান্য’ কিন্তু বিশালত্বের দিক দিয়ে আমাদের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে এরপর এ মিনিট পার্টিকেলগুলো ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করে এবং মহাকর্ষ বলের কারণে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু গঠন করা শুরু করতে থাকে। তবে এটি কোনো দ্রুত প্রক্রিয়া ছিল না। লক্ষ কোটি বছর দরে এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এ মহাবিশ্বের নক্ষত্র, গ্রহ, স্থান, কণা, শক্তি সবকিছু এ প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে। এ তত্ত্বটিই আমাদের কাছে ‘বিগ ব্যাং’ বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব হিসেবে পরিচিত। আর এভাবেই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়।
তথ্যসূত্র: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ (ষষ্ঠ শ্রেণি)
আরও পড়ুন……
- ব্যাকরণ কাকে বলে? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা লেখ।
- বাংলা ভাষা, মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষার সংজ্ঞার্থ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
- গ্যালাক্সি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর। (বিজ্ঞান অংশ)
- মহাবিস্ফোরণ (বিগ ব্যাং) তত্ত্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন কর। (বিজ্ঞান অংশ)