Table of Contents
দেশপ্রেম রচনা
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি তোমরা ভাল আছো । তো আজকে তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম দেশপ্রেম রচনা। এই রচনা তোমরা যারা পরীক্ষার্থী তাদের অনেক কাজে লাগবে । তো তোমাদের ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে Facebook messenger, Whatsapp, Telegram, Instagram এবং IMO তে শেয়ার করতে পারো ।
দেশপ্রেম রচনা
সূচনা: দেশপ্রেম মানব চরিত্রের একটি মহৎ গুণ। মানুষের জীবনে ভালোবাসার তিনটি বিষয় হচ্ছে মাতা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি। বিশ্বের সকল দেশপ্রেমিকই দেশকে মায়ের মতই সর্বশ্রেষ্ঠ বিবেচনা করেন। কবি তাই বলেন-
ও আমার দেশের মাটি
তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা
তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা।
দেশপ্রেমিকের বৈশিষ্ট্য: প্রকৃত দেশপ্রেমিক আপন মাতৃভূমিকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। দেশের মাটি, মানুষ এবং ছোট বড় সকল বিষয় তার কাছে সৌন্দর্যে ও গুণে অনন্য হয়ে ওঠে। হতে পারে কোন দেশ দরিদ্র, হতে পারে তার মানুষ অশিক্ষিত কিন্তু প্রকৃত দেশপ্রেমিকের কাছে তার দেশ সকল দেশের সেরা। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল তাই বলেছেন- “এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।”
দেশপ্রেমিক দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। এইজন্য ইসলাম ধর্মে দেশপ্রেমকে ‘ঈমানের অঙ্গ’ বলা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুদ্ধ করে প্রাণ দেয়া, জেহাদ করে শহীদ হবার সমতুল্য। বিশ্বের ইতিহাসে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগ্রাম, আন্দোলন, যুদ্ধ অথবা কঠিনতম কর্মের মধ্যে আত্মদানকারী অসংখ্য দেশপ্রেমিক বীর যোদ্ধা মহান নেতার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে।
দেশপ্রেম,
দেশপ্রেম রচনা,
দেশপ্রেমের ক্ষেত্র: শুধুমাত্র দেশের জন্য যুদ্ধ করেই দেশপ্রেমের পরিচয় দেয়া যায় তা নয়। শক্তি ও যোগ্যতা অনুসারে যদেশ ও মজাতির জন্য যে কোন কল্যাণমূলক কাজই দেশেপ্রেমের অঙ্গ হতে পারে। দেশকে ভালোবাসার ব্যাপক অর্থ হচ্ছে স্বজাতি, অসমাজ, মাতৃভাষা, আপন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, স্বদেশের রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান, সাহিত্য, কাব্য, মানুষ, প্রকৃতি সব কিছুকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসা, সব কিছুকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করা। জীবনের সকল ক্ষেত্রে কথায়, কাজে, আচার, আচরণে দেশের গৌরব যাতে এতটুকু ক্ষুণ্ণ না হয় প্রকৃত দেশপ্রেমিক সে বিষয়ে সতর্ক থাকেন। তিনি নিজেকে আপন দেশ ও জাতির একজন বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন।
দেশপ্রেমের অভাব: দেশপ্রেমের অভাব মানুষকে অমানুষ করে তোলে। প্রচুর ধন সম্পদ, অসীম সামাজিক মর্যাদা অথবা যথেষ্ট বিদ্যার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও কোন ব্যক্তির অন্তরে যদি স্বদেশের প্রতি ভালবাসা না থাকে তা হলে তার ধন-সম্পদ, বিদ্যা-বুদ্ধির কোন মূল্যই থাকেনা। দেশকে যে ভালোবাসেনা তার দ্বারা কোনদিন দেশের কল্যাণ সাধিত হয়না।
কবি তাই দেশপ্রেমহীন ব্যক্তির প্রতি ধিক্কার দিয়ে বলেন-
-যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হিত,
অতীব ঘৃণিত সেই পাষণ্ড বর্বর।
স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত জানাও সে নরাধমে জানাও সত্বর
দেশপ্রেম মানুষকে একদিকে যেমন মহান করে অপরদিকে তা বিশ্ব মানবতা তথা বিশ্বপ্রেমের উৎসও বটে। একজন দেশপ্রেমিক ব্যক্তি নিজের শান্তির ও কল্যাণের কথা চিন্তা করে। তাই সে বিশ্বশান্তি ও বিশ্বমানবতার পথে বিম্নমরূপ সকল কাজকেই ঘৃণা করে। জগতের সমস্ত দেশপ্রেমিক ব্যক্তির মিলিত চেষ্টায় বর্তমান যুগের বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিনষ্টকারী যত অপশক্তি আছে তা প্রতিহত করা সম্ভব।
উপসংহারঃ বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি। দেশপ্রেমের মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রাণ দিয়েছিল এদেশের ৩০ লক্ষ মানুষ। দেশপ্রেমের সেই অমর আদর্শ অবলম্মন করে আমাদের সকলকে এগিয়ে যেতে হবে দেশের মঙ্গল কর্মে ।
দেশপ্রেম কি ?
নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসাই হলো দেশপ্রেম । অর্থাৎ নিজ দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে দেশপ্রেম বলে। দেশের প্রতি আজন্ম আকর্ষণ থেকেই দেশপ্রেমের উৎপত্তি। দেশপ্রেম হলো মায়ের প্রতি ভালোবাসার শামিল।
দেশপ্রেম কি,
দেশপ্রেম কী,
আরও পড়ুন……
- অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রচনা
- বাংলা রচনা : আমার প্রিয় শেখ রাসেল রচনা । শেখ রাসেল সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগিতা
- রচনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল/কর্ণফুলি টানেল
- বাংলা রচনা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা
- মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা
- বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা
- সময়ানুবর্তিতা রচনা বাংলা ২য় পত্র