কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

0
221
অফিস ছুটির জন্য আবেদন
অফিস ছুটির জন্য আবেদন
Advertisements
Rate this post

কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ

শিক্ষা উন্নত জাতি গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। শিক্ষা যদি বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো না যায় তাহলে তা অর্থহীন। এজন্য বাস্তব জীবনে কাজে লাগে সেটিই প্রকৃত শিক্ষা। যে শিক্ষা জীবনের সাথে জড়িত সেটিই কর্মমুখী শিক্ষা। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে হাতে-কলমে যা শিক্ষা লাভ করে জীবিকার্জনের উপযুক্ত হয় তাই কর্মমুখী শিক্ষা। কর্মমুখী শিক্ষাকে কারিগরি শিক্ষাও বলা হয়। কর্মমুখী শিক্ষা হলো- হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, নার্সারি, মোবাইল-টিভি-ফ্রিজ মেরামত, গ্রাফিক্স আর্টস, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই, ইলেকট্রিক কাজ, কাঠমিস্ত্রি ও রাজমিস্ত্রির কাজসহ আরও অনেক ধরনের কাজ।

কর্মমুখী শিক্ষা আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। এই শিক্ষা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়। কর্মমুখী শিক্ষা ছাড়া কল-কারখানা, কৃষি, শিল্প, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি সম্ভব হবে না। দারিদ্র্য বিমোচনে কর্মমুখী শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। আমাদের দেশের সরকার কর্মমুখী শিক্ষার ওপর অনেক গুরুত্ব প্রদান করেছে। পলিটেকনিক ও ভোকেশনাল ট্রেনিং, টেক্সটাইল টেকনোলজি কলেজ, গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মমুখী শিক্ষায় অনেক ভূমিকা রাখছে।

কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ

Advertisements

আরও অনেক বেশি কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা প্রয়োজন। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই। কর্মমুখী শিক্ষার উপর যতবেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে দেশে ততবেশি দক্ষ কর্মী তৈরি হবে। দক্ষ জনশক্তি দেশের সম্পদ। কর্মমুখী শিক্ষা আজ সারা পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত। তাই আমাদের দেশকে উন্নত করার জন্য হাতে-কলমে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশ বিশাল জনসংখ্যার দেশ। কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে এই বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা যাবে। তাই আমাদের দেশের সরকারের উচিত কর্মমুখী শিক্ষার উপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া।

শিক্ষা সংক্রান্ত নতুন নতুন কন্টেন্ট  পড়তে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

আরও পড়ুন……

 

Advertisements

Leave a Reply