Table of Contents
প্রশ্ন। সাধু ও চলিত ভাষা কাকে বলে? সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য ও বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর:
অঞ্চলভেদে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সাধু ও চলিত ভাষা তারই বহিঃপ্রকাশ। নিচে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:
সাধু ও চলিত ভাষার সংজ্ঞার্থ :
যে ভাষা ব্যাকরণের নিয়মানুযায়ী সাধারণত গদ্য সাহিত্যে ব্যবহৃত হয় তাকে সাধু ভাষা বলে। আর সাধু ভাষাকে যখন একটু পরিমার্জিত আকারে সবার নিকট বোধগম্যভাবে উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে চলিত ভাষা বলে।
সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য এবং বৈশিষ্ট্য: সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য ও বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-
সাধু ভাষা | চলিত ভাষা |
১। সাধু ভাষা প্রাচীন। | 1) চলিত ভাষা আধুনিক। |
২। সাধু ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারী। | 2) চলিত ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়মানুসারী নয়। |
৩। সাধু ভাষা ধীর, মন্থর ও অচঞ্চল। | 3) চলিত ভাষা গতিশীল ও প্রাণবন্ত। |
৪। সাধু ভাষায় ক্রিয়া ও সর্বনাম পদগুলো দীর্ঘ। | 4) এ ভাষায় ক্রিয়া ও সর্বনাম পদগুলো সংক্ষিপ্ত। |
৫। সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের অধিকারী। | 5) চলিত ভাষা সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য। |
৬। সাধু ভাষায় সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি। | 6) চলিত ভাষায় তত্ত্ব, দেশি ও বিদেশি শব্দের প্রয়োগ বেশি। |
৭. সাধু ভাষা শুধু লেখ্য ভাষার যোগ্য। | 7) এ ভাষা লেখ্য ও কথ্য উভয়ক্ষেত্রেই যোগ্য। |
৮। সাধু ভাষা বক্তৃতা, নাটক ও সংলাপের অনুপযোগী। | 8) চলিত ভাষা বক্তৃতা, নাটক ও সংলাপের উপযোগী। |
সাধু ও চলিত ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। তা না হলে ভাষার ব্যবহারে ভুলভ্রান্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন……
- বাংলা ভাষা, মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষার সংজ্ঞার্থ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
- ভাষা কাকে বলে ? বাংলা ভাষার প্রধান রূপ কয়টি ও কী কী ?
- জাতীয় পতাকা অনু-চ্ছেদ
- রেলগাড়ি অনু-চ্ছেদ
- ভাবসম্প্রসারণ : মিথ্যা শুনিনি ভাই – এই হৃদয়ের চেয়ে বড়
- ভাষা আন্দোলন রচনা (বাংলা ২য় পত্র )
- স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ ভাবসম্প্রসারণ | বাং’লা ২য় পত্র
- পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও সকল প্রশ্নোত্তর জেনে নিন ২০২৪