বাংলা ব্যাকরণের সংজ্ঞার্থ ও ব্যাকরণের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
বাংলা ব্যাকরণের সংজ্ঞার্থ :
যে শাস্ত্র পাঠ করলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখতে, পড়তে ও বলতে পারা যায় তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞার্থ
১। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “যে শাস্ত্র জানলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখতে, পড়তে ও বলতে পারা যায়, তার নাম বাংলা ব্যাকরণ।”
২। ড. মুহম্মদ এনামুল হকের মতে, “যে শাস্ত্র দ্বারা বাংলা ভাষাকে বিশ্লেষণ করে এর বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক সম্বন্ধ নির্ণয় করা যায়, তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।”
ব্যাকরণের বৈশিষ্ট্য:
১। ব্যাকরণ ভাষার নানা প্রকৃতি ও স্বরূপ বিশ্লেষণ করে।
২। ব্যাকরণ ভাষার অভ্যন্তরীণ নিয়মকানুন ও রীতিনীতি শৃঙ্খলাবদ্ধ করে থাকে।
৩। ব্যাকরণ ভাষাকে অনুকরণ ও অনুসরণ করে।
৪। ব্যাকরণ ধ্বনি, শব্দ ও বাক্য নিয়ে কাজ করে।
৫। ব্যাকরণের জ্ঞান ভাষাকে বিশুদ্ধ ও নির্ভুল রাখতে সহায়তা করে।
৬। ব্যাকরণ ভাষাকে নিয়ন্ত্রণ করে না; বরং ভাষাই ব্যাকরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন……
- ব্যাকরণ কাকে বলে? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা লেখ।
- বাংলা ভাষা, মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষার সংজ্ঞার্থ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
- ভাষা কাকে বলে ? বাংলা ভাষার প্রধান রূপ কয়টি ও কী কী ?
- জাতীয় পতাকা অনু-চ্ছেদ
- রেলগাড়ি অনু-চ্ছেদ
- ভাবসম্প্রসারণ : মিথ্যা শুনিনি ভাই – এই হৃদয়ের চেয়ে বড়
- ভাষা আন্দোলন রচনা (বাংলা ২য় পত্র )
- স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ ভাবসম্প্রসারণ | বাং’লা ২য় পত্র
- পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও সকল প্রশ্নোত্তর জেনে নিন ২০২৪